ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফের ৫৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প

নির্মিত হবে আন্ডারপাস-ইউলুপ

| শনিবার , ১ মে, ২০২১ at ৭:৪৪ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপদ ও যানজটমুক্ত করতে ফের ৫৬৮ কোটির টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় নতুন করে এই জাতীয় মহাসড়কে আন্ডারপাস-ইউলুপ নির্মাণ করা হবে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমানোসহ টেকসই, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয় যোগাযোগ ব্যবস্থার লক্ষ্যে নতুন করে এই উদ্যোগ। জানা গেছে, এ মহাসড়কের ৯৩তম কিলোমিটারে কুমিল্লার পদুয়ার বাজারে তিন রাস্তার মোড়ে আন্ডারপাসসহ ইউলুপ এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ পথে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। খবর বাংলানিউজের।
‘ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে ৬টি আন্ডারপাস এবং পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ নির্মাণ’ নামের এই প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। চলতি সময় থেকে ২০২৪ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। সওজের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (কুমিল্লা জোন) মো. শওকত আলী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক নিরাপদ ও ঝুঁকিমুক্ত করতেই নতুন করে ইউলুপ ও আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। পদুয়ার বাজারে অনেক জটলা থাকে। এসব নিরসনেই এমন উদ্যোগ। বুয়েটের মাধ্যমে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করেই প্রকল্পটি নেওয়া হচ্ছে। প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক (এন-১) ও কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ ও একটি আন্ডারপাস, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা গেইট এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেলতলী গেইট সংলগ্ন স্থানে দুইটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। ঢাকা-চট্টগ্রামের এ সংযোগ সড়ক ভবিষ্যতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের সঙ্গে যোগাযোগে ব্যবহৃত হবে। আর সে কারণে এর বর্তমান এবং ভবিষ্যতের ট্রাফিক চাহিদা পূরণের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষমতা এবং গতিশীলতা দরকার বলে দাবি করেছে সওজ।
প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ১৪২ মিটারের ইউলুপ নির্মাণ অ্যাপ্রোচ সড়কসহ। ১৭১ মিটারের তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণসহ ভূমি অধিগ্রহণ, একটি ডাবল কেবিন পিকআপ, প্রকল্পের আওতায় ল্যান্ডস্কেপ, ইউটিলিটি সিটিং এবং বৃক্ষরোপনসহ অন্যান্য কাজ সম্পন্ন করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের মেগাপ্রকল্প ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়কের উদ্বোধন করা হয় ২০১৬ সালের দুই জুলাই। অথচ উদ্বোধনের দুই বছর না পেরোতেই ১৯২ কিলোমিটার সড়কের বিভন্ন স্থানে বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে বিটুমিন। দেখা গেছে নানা ‘ক্ষত’ ও খানাখন্দ। বর্তমানে মহাসড়কটির বেশ কয়েকটি স্থানে ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় বেশিরভাগ যানবাহনের চালকরা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ রাখতে গতি কমাতে বাধ্য হচ্ছেন। বেশ কয়েকটি স্থানে সওজ ইটের জোড়াতালি দিয়েছে। কুমিল্লা সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকায় ব্যস্ততম ফোরলেন কুমিল্লা থেকে ঢাকাগামী অংশের কয়েকটি স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে চালকরা যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। গতি কমাতে বাধ্য হচ্ছেন।
অন্যদিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ১৯২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার সড়ক পরবর্তী পাঁচ বছর মসৃণ ও অক্ষত রাখতে ৭৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদফতর (সওজ)। নতুন করে আবারও প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে।
এমন উদ্যোগ শুরুতে কেন নেওয়া হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে শওকত আলী বলেন, সড়ক মসৃণ রাখার সঙ্গে এই প্রকল্পের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা সম্পূর্ণভাবে আলাদা। মূল প্রকল্পের কাজ ২০১০ সালে শুরু হয়। বর্তমানে যে সমস্যা হচ্ছে তখন এই সমস্যা ছিল না। সড়ক নিরাপদ করতে নতুন নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার হচ্ছে। এরই আলোকে ইউলুপ ও আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনার ভারতীয় ধরন সম্পর্কে যা যা জানা গেছে
পরবর্তী নিবন্ধকমছে গরম, নামতে পারে বৃষ্টি