ডিজিটাল যুগেও অসহায় মানুষ!

সুমি ভট্টাচার্য | শনিবার , ৬ মার্চ, ২০২১ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে একটি রাষ্ট্রকে নিয়ে যাওয়ার পথ এত সহজ ছিলো না। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার প্রধান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর ঐকান্তিক ইচ্ছা ও চেষ্টার ফসল আজ এই ডিজিটাল বাংলাদেশ। ইন্টারনেট সেবা আজ স্মার্টফোনের মতো ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। ৩ম, ৪ম, ৫ম এভাবে আমরা এগিয়ে চলছি। শিক্ষার্থীরা আজ মেধা ও মননে অনলাইনের সুবর্ণ সুযোগ ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাকে আপন করে নিয়ে সমাজের প্রতি দায়িত্ববোধ রক্ষায় এগুতে পারছে। পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র আজ গর্বিত। কিন্তু তবুও প্রশ্ন অনেক। আমাদের দেশ নিরাপদ জীবন ও নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে কতটুকু শক্তিশালী? ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থী দ্বারা স্মার্টফোন এর অপব্যবহার চলছে নাতো?
অনলাইনের সুবিধায় সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাস বিকৃতির মতো অপসংস্কৃতি বৃদ্ধি পাচ্ছে না তো? আমাদের দেশ অসামপ্রদায়িক সমাজ গড়ে তুলতে পেরেছে? মাদক মুক্ত সমাজ কি আমরা দিতে পেরেছি? মাদক পাচারকারী চক্রগুলো আদৌ ধ্বংস করা যাবে? মাদকের বিষয়ে মদ, ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবার সাথে এখন যুক্ত হলো শতগুণ ক্ষতিকারক ক্রিস্টাল মেথ বা আইস নামক ভয়ংকর মাদক। যা মানবসম্পদ গঠনে প্রধান অন্তরায়! মাদকাসক্তির কারণে প্রতিনিয়ত প্রাণ দিতে হচ্ছে সন্তানের হাতে পিতা-মাতার, স্বামীর হাতে স্ত্রী, স্ত্রীর হাতে স্বামী, ভাই-বোন-বন্ধুসহ পরিবার পরিজনদের। জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল, প্যারাফিন, মসুরের ডাল, ট্যালকম পাউডার দিয়ে তৈরি হচ্ছে ইয়াবা, স্পিরিট, রং, কেমিক্যাল দিয়ে হচ্ছে ভেজাল মদ বিষের মধ্যেও ভয়ংকর বিষ, ভেজাল মাদকে সয়লাব! তবুও ছাড় নেই। ইন্টারনেটের মাধ্যমে নিষিদ্ধ ওয়েবসাইটের কারণে দিনদিন বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ ও বলাৎকার নামক অপরাধ। এই বিষয়গুলো যদি সহসা নিরাময়ের জন্য জোর ব্যবস্থা নেওয়া না হয় অর্থাৎ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারবিধির সঠিক আইন ও সংশোধনের বিষয়গুলো তবে স্বাধীন বাংলাদেশ এই অসহায় মানুষ নিয়ে কতটুকু নিরাপদ পথ ভবিষ্যতে পাড়ি দিয়ে সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে তা সত্যি ভাবনার বিষয়!

পূর্ববর্তী নিবন্ধমা আমার মা
পরবর্তী নিবন্ধবিশ্ব নারী দিবস ও আমাদের নারীদের অবস্থান