কারাগার থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর মামলার আসামি এবং সাজাপ্রাপ্ত বা একাধিক মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে উপস্থাপনের সময় ডাণ্ডাবেড়ি পরানোর ব্যবস্থা নিতে কারা সদর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিশ। ঢাকার জনাকীর্ণ আদালত থেকে রোববার ভরদুপুরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনার পর ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রসিকিউশন শাখা থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়।
প্রসিকিউশন পুলিশের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন গতকাল বলেন, কোর্টে হাজিরের সময় গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের ডাণ্ডাবেড়ি না পরানোর কারণে ইতোমধ্যে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আদালত থেকে পালিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। ডাণ্ডাবেড়ি পরানো থাকলে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হতো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কারা সদর দপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কারা পুলিশের মহাপরিদর্শক ওই চিঠি পাবেন। খবর বিডিনিউজের।
চিঠিতে বলা হয়েছে, জেলখানা থেকে সন্ত্রাসী, জঙ্গি, চাঞ্চল্যকর ও সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের আদালতে হাজির করার সময় অবশ্যই জেল কোড অনুযায়ী ডাণ্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় কোর্টে হাজির করতে হবে। এছাড়া জঙ্গি ও সন্ত্রাসীসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের আলাদা প্রিজন ভ্যানে পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
ডাণ্ডাবেড়ি হলো মোটা লোহার রিং, যার এক পাশ খোলা থাকে। বন্দিদের পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে শেকল এঁটে বন্দির হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সে দৌড়াতে না পারে।
২০১৭ সালে চার জঙ্গিকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করার ছবি সংবাদমাধ্যমে এলে ডিআইজি প্রিজন্সকে তলব করে হাই কোর্ট। পরে আদালতের আদেশে বলা হয়, ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালত কক্ষে কোনো আসামিকে হাজির করা যাবে না। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে কারাগার থেকে আদালতে আনা-নেয়ার সময় ডাণ্ডাবেড়ি পরানো যাবে।
এ অবস্থায় প্রসিকিউশন পুলিশের চিঠির ভিত্তিতে কারা কর্তৃপক্ষ কী পদক্ষেপ নেবে জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুজাউর রহমান বলেন, মেইলের মাধ্যমে প্রসিকিউশনের চিঠি পেয়েছি। যে নির্দেশনা দিয়েছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।