মুক্তিপণ আদায়ের পর মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ছেড়ে দিয়েছে বাংলাদেশী সেই তিনটি ট্রলার। আজ বুধবার (১০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে ট্রলার তিনটি টেকনাফ পৌরসভার কাখুকখালী (কেকে খাল) ঘাটে ফিরে আসে।
গত ৮ নভেম্বর সোমবার বেলা ১১টার সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণে মিয়ানমারের আকিয়াব শহরের মংডু এলাকার আংডাং-কুলুং উপকূল থেকে বিজিপি ধরে নিয়ে যায় বাংলাদেশী তিনটি ট্রলার।
ট্রলার হলোর মালিক হলেন টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যং পাড়ার ফজল করিম, ৭নং ওয়ার্ড চৌধুরী পাড়ার সালমান ও ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ জালিয়া পাড়ার মো. ছৈয়দ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফজল করিম নিজে মাঝি হিসেবে ৮ জন মাঝিমাল্লা নিয়ে সাগরে গেলেও সালমানের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি মোবারক, মো. ছৈয়দের মালিকানাধীন নৌকার মাঝি ছৈয়দ আলমসহ তিনটি ট্রলারের ১৮-২০ জন মাঝিমাল্লা ছিল।
ফিরে আসা নৌকার মালিক ও মাঝি টেকনাফ পৌরসভা ১নং ওয়ার্ড নাইট্যং পাড়ার বাসিন্দা ফজল করিমসহ কীভাবে ফিরে এসেছে তা বলতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে একটি সূত্র মতে সালমানের ট্রলারটি দুই লাখ ও অন্য দু’টি তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে এসেছে।
জনৈক নুরুল ইসলাম এ সংক্রান্ত লেনদেন করেছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান ফিরে আসা ট্রলারের মাঝি।
তিনি আরো জানান, আজ বুধবার সকাল থেকে কেকে ঘাট দিয়ে মাছ শিকারে যাওয়া ট্রলার যাওয়া বন্ধ ছিল। বিকেলে বোট মালিক সমিতির পীড়াপীড়িতে মাত্র দুয়েকটি নৌকা সাগরে রওয়ানা দেয়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ নভেম্বর শুক্রবার সকালে টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী ঘাট দিয়ে এসব ফিশিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে রওয়ানা দিয়েছিল।
বিজিবি টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন পরিচালক (সিও) লে. কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সাল হাসান খান বলেন, “ট্রলারগুলো তাদের মতো দেন-দরবার করে ফিরে এসেছে বলে জেনেছি।”