টানা পঞ্চম জয় তুলে নিল বরিশাল

ক্রীড়া প্রতিবেদন | শনিবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৮:২৪ পূর্বাহ্ণ

থামানোই যাচ্ছে না বরিশালের জয়রথ। হার দিয়ে বিপিএল শুরু করা সাকিবের দল এরপর একে একে জিতে নিয়েছে ৫ ম্যাচ। টানা ৫ জয়ে বরিশাল এখন নক আউটের পথে এগিয়ে গেল আরো একধাপ।

গতকাল নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসকে ১৩ রানে হারিয়েছে বরিশাল। ফলে সিলেটের মত বরিশালের পয়েন্টও এখন ১০। সিলেট প্রথম ৫ ম্যাচে জিতে ষষ্ঠ ম্যাচে হেরেছে। আর বরিশাল প্রথম ম্যাচে হেরে পরের ৫ ম্যাচে জিতেছে। দুদলের পয়েন্ট সমান হলেও রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট তালিকার প্রথম স্থানে সিলেট। আর দ্বিতীয় স্থানে বরিশাল।

গতালের ম্যাচেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন বরিশালের পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতেখার আহমেদ। মূলত তার ব্যাটেই ভাল সংগ্রহ পায় বরিশাল। বোলাররা সে রানকে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় করে তোলেন।

আর তাতেই টানা পঞ্চম জয় নিশ্চিত হয় বরিশালের। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা বরিশাল শুরুতেই উইকেট হারায়। ১৭ রানে দুই ওপেনারকে হারানোর পর ৪৪ রানের মাথায় ফিরেন চতুরঙ্গ ডি সিলভাও। সাকিব এবং মিরাজ মিলেও এরপর দলকে টানতে পারেননি। ১৪ বলে ১৭ রান করে ফিরেন মিরাজ। আগেরদিন ঝড় তোলা সাকিব ফিরেন ৩০ রান করে।

তার ১৭ বলের ইনিংসে ৪টি চার এবং একটি ছক্কার মার ছিল। ৮৯ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর হাল ধরেন আগের দিন সেঞ্চুরি করা ইফতেখার এবং মাহমুদউল্লাহ। দুজন মিলে অবিচ্ছিন্ন ৮৪ রান যোগ করে দলকে পৌঁছে দেন ১৭৩ রানে। ইফতেখার অপরাজিত ছিলেন ৩৪ বলে ৫৬ রান করে। আর মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে ৩৫ রান করে। ঢাকা ডমিনেটরসের পক্ষে ২টি উইকেট নেন নাসির হোসেন।

জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ঢাকা ডমিনেটরসের দুই ওপেনার ওসমান গনি এবং সৌম্য সরকার। কিন্তু ৪৬ রানে বিচ্ছিন্ন হন দুজন। ফিরেন ওসমান গনি। ১৯ বলে ৩০ রান করেন ওসমান ২ চার এবং ৩ ছক্কায়। দলের প্রয়োজনের মুহুর্তে আরো একবার ব্যর্থ হলেন সৌম্য সরকার। ফিরেছেন ১৫ বলে ১৬ রান করে। চাপের মুখে ৩ রান করে রান আউট হয়ে ফিরেন মোহাম্মদ ইমরান।

৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর নাসির এবং মিথুন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। দুজন মিলে দলকে জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কঠিন সময়ে ভাঙল এ জুটি। ৩৮ বলে ৪৭ রান করা মিথুনকে বোল্ড করে ৮৯ রানের এ জুটি ভাঙ্গেন মোহাম্মদ ওয়াসিম।

শেষ ওভারে ঢাকার জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৫ রানের। কামরুল ইসলাম রাব্বির করা ওভার থেকে ১১ রান তুলতে সক্ষম হয় ঢাকার দুই ব্যাটার। আর তাতেই ১৬০ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। অধিনায়ক নাসির ৩৬ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট হতে হবে : শিক্ষামন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের হার্টের রোগীদের এখন বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না