জীবন উপভোগ্য

হামিমা জামিল রুমা | বৃহস্পতিবার , ১২ মে, ২০২২ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

জীবনের উপর কখনো অসন্তুষ্টি আসবেনা যদি খোলা আকাশের নীচে, খাবার নাই,কাপড় নাই, ঘুমানোর বিছানা নাই,চারটা দেয়াল দিয়ে বানানো একটা ঘর নামের বাসস্থান নাই, তাদের কথা দিনে অন্তত একবার মনে করা যায় আর যদি সচক্ষে তাদেরকে একবার দেখে আসা যায়। নিজের শরীরের দিকে তাকালে, আমি সুস্থ আছি এটাই বড় নেয়ামত আমার জন্য, এটুকু প্রাপ্তিই যথেষ্ট, এটা মানুষ তখন অনুভব করতে পারে, যখন হাসপাতালে ইমার্জেন্সি বিভাগে মানুষ একটু বাচঁবার জন্য ছটফট করতে থাকার যন্ত্রণা নিজ চোখে দেখে। দিনে অন্তত একবার যদি নিজেকে মনে করিয়ে দেয়া যায়, যেকোনো মুহূর্তে আমার মৃত্যু হতে পারে, আমি কিভাবে নিজেকে সবকিছু থেকে সংযত রাখতে পারি? আল্লাহর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে ছোটবড় প্রতিটা কাজের হিসাবতো দিতেই হবে! তখন হিংসা অহংকার সব ধুলোয় মিশে যাবে নিমিষেই, কারণ মৃত্যু খুব নির্মম সত্য জীবনের জন্য।

পরনিন্দা চর্চা করে সময় নষ্ট করার জন্য জীবনটা খুবই ছোট, না পাওয়া নিয়ে আফসোস করার জন্যও জীবন খুব সীমিত, জীবন এসবের জন্য নয় এটা মাথায় সেট করে, জীবনকে উপভোগ্য করে তোলার দায়িত্ব যার যার নিজের। কেউ একজন আমাকে একটা জিনিস দিলো, ওটা আমি নিলাম না, তাহলে ওটা যার জিনিস তারই থাকলো আমার হলোনা, ঠিক তেমনি কেউ আমায় নিয়ে দুনিয়ার হাবিজাবি সমালোচনা করলো, গালাগালি করলো, অপবাদ দিলো, ছোটো করলো কিন্তু আমি নিলামনা তাহলে ওগুলো তাদের কাছেই থাকলো, আমারতো হলোনা। তো এসব কিভাবে আমার মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে? আমি এভাবেই ভাবতে পছন্দ করি।

প্রতিটা বিষয়কে সহজভাবে নিতে হয় কঠিনভাবে নয়। জীবন খুব ছোটো, তাই প্রতিটা মুহূর্তের ছোট ছোট আনন্দগুলো নিজের মতো করে উপভোগ করার দায়িত্বটুকুতো নেয়ায় যায়! ভালো ভাবনা ভালো রাখতে ভালো অবদান রাখে! নিজেকে সৃজনশীল হতে হলে ভাবনার জগৎ দেখার জগৎ হতে হয় ইতিবাচকতায় পরিপূর্ণ! আর এই অসাধারণ গুণটি প্রতিটি মানুষের মধ্যেই রয়েছে, একটু বোঝে নিয়ে নিজের জীবনে এপ্লাই করতে হয় যেনো সবার জন্য কাজটি ভালোর উদাহরণ হয় আর অনুপ্রেরণার কারণ হয়। তাই জ্বলে উঠুন আপন শক্তিতে, জীবন সুন্দর।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাছের মানুষ
পরবর্তী নিবন্ধপিতা ও গণদেবতা