জীবনের ৬৭ বসন্তে চির সবুজ রেখা

| সোমবার , ১১ অক্টোবর, ২০২১ at ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

পর্দায় দক্ষ অভিনয়, রূপের সৌন্দর্য, আকর্ষণীয় ফিগার আর আবেদন দিয়ে বলিউডের চির সবুজ অভিনেত্রীর খেতাব পেয়েছেন রেখা। এই অভিনেত্রীর জন্মদিন সোমবার (১০ অক্টোবর)। শৈশব পেরিয়ে কৈশোরে মাত্র ১৪ বছর বয়সেই চলচ্চিত্র জগতে নাম লেখানো রেখা পা রাখলেন জীবনের ৬৭ বসন্তে।
রেখার আসল নাম ভানুরেখা গনেশন। তিনি দক্ষিণী অভিনেতা জেমিনি গনেশন এবং তেলেগু অভিনেত্রী পুষ্পাভ্যাল্লির কন্যা। ভারতের চেন্নাইয়ে ১০ অক্টোবর, ১৯৫৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। রেখার বাবা-মা বিবাহিত ছিলেন না। রেখার ভরণপোষণ অস্বীকার করেন তার বাবা। রেখা যে তারই ঔরসজাত সন্তান সেটিও মেনে নেননি। এমন অবস্থায় শৈশবেই স্কুল ছেড়ে দেন রেখা। মাত্র ১৪ বছর বয়সে নাম লেখান অভিনয় জগতে। ১৯৬৬ সালে ‘রাঙ্গোলা রত্নম’ নামের তেলেগু সিনেমার মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রজীবন শুরু রেখার।
নায়িকা হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন ১৯৬৯ সালে ‘আনজানা সফর’ সিনেমায়। শুরুর দিকে তেমন সাফল্য না দেখলেও সত্তরের দশকের মাঝামাঝি সময়ে রেখা অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ‘দো আনজানে’ সিনেমাতে অমিতাভের সঙ্গে অভিনয় করে সবার নজরে আসেন রেখা। এ জুটির রসায়ন দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করে খুব সহজে। একে একে ‘সিলসিলা’, ‘মুকাদ্দর কা সিকান্দার’ ‘খুন-পাসিনা’, ‘সুহাগ’, ‘মিস্টার নটবরলাল’সহ ১১টি সিনেমায় জুটিবদ্ধ হয়ে অভিনয় করেছেন তারা। এক সময় অমিতাভ-রেখা বিয়ের গুঞ্জনও ছড়িয়ে পড়ে বলিউড মহলে। ১৯৮০ সালে ঋষি কাপুর এবং নিতু সিংয়ের বিয়েতে শাঁখা-সিঁদুর পরে উপস্থিত হয়েছিলেন রেখা। সেখান থেকে বিয়ের গুঞ্জন ভারী হলেও দু’জনে এ বিষয়ে কখনও মুখ খুলেননি। অমিতাভ-রেখার সর্বশেষ সিনেমা ‘সিলসিলা’ মুক্তি পায় ১৯৮১ সালে। এরপর আর কখনও একসঙ্গে অভিনয় করেননি তারা।
দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে প্রায় ২০০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন রেখা। কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, দু’বার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে এবং একবার শ্রেষ্ঠ সহ-অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেছেন এ অভিনেত্রী। ব্যক্তি জীবনে রেখা ১৯৯০ সালে দিল্লীর শিল্পপতি মুকেশ আগারওয়ালকে বিয়ে করেন। এক বছর পর যখন রেখা যুক্তরাষ্ট্রে তখন মুকেশ আত্মহত্যা করেন। স্বামীর অপমৃত্যুর জন্য রেখাকেও দায়ী করে অনেক সংবাদমাধ্যম। তবে মুকেশ আত্মহত্যার আগেই চিরকুটে লিখে যান কারো কোন দোষ নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাত্রী খুঁজছেন নোবেল
পরবর্তী নিবন্ধশুরু হলো অনুদানের ‘জলরঙ’