জিপিও তে (ডাকঘর সঞ্চয়) সাধারণ হিসাব খোলা প্রসঙ্গে

স্মরণিকা চৌধুরী | সোমবার , ২০ জুন, ২০২২ at ৬:৩৭ পূর্বাহ্ণ

সকল মানুষের সঞ্চয়ী হওয়া অতি আবশ্যক। বিশেষ করে সাধারণ জনগণের অবশ্যই ভবিষ্যৎ চিন্তা করে টুকটুক করে সঞ্চয় করা অতি জরুরি। ফলশ্রুতিতে বিপদকালীন সময়ে কারো উপর নির্ভর না করে জমানো অর্থ দিয়ে সে তার বিপদ সামলাতে পারবে। এতে করে নিজের কর্মের উপর আলাদা একটা আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠবে। শুধু বিপদের সময়ে নয় ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, বিয়ে সাদী দেওয়া কিংবা পরিবারের আপনজনের খারাপ অবস্থায় সাহায্য করা নানাবিধ সমস্যা এই জমানো অর্থ দিয়ে মোকাবেলা করা যায়।

বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে দেখা যাচ্ছে জিপিও তে সাধারণ হিসাব অনলাইন ভিত্তিক হয়ে যাওয়াতে মুষ্টিমেয় কিছু লোক প্রথম দিকে সাধারণ হিসাব অনলাইন এ হিসাব খুলতে পেরেছে। কিন্তু হঠাৎ করে সাধারণ হিসাব অনলাইন বন্ধ করে দেওয়াতে বর্তমানে বৃহত্তর জনগণ নতুন ভাবে সাধারণ হিসাব খুলে সাধারণ হিসাবে কোনো জমা করতে পারছে না। যদিও তিনবছর মেয়াদি ফিঙড ডিপোজিট অনলাইন ভিত্তিক চালু আছে সেখানেও গ্রাহকদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

বিশেষ করে যারা আগে থেকে ফিক্সড ডিপোজিট এ টাকা জমা দিয়েছে সে সব জনগণ নতুন ভাবে টাকা জমা দিতে পারছে না অনলাইন ভিত্তিক ফিক্সড ডিপোজিট হিসাব খুলতে না পারার কারণে। কেননা পুরাতন ফিক্সড ডিপোজিট বন্ধ না করা পর্যন্ত নতুন অনলাইন ভিত্তিক ফিক্সড ডিপোজিট হিসাব খুলতে পারবে না।

ফলশ্রুতিতে একজন গ্রাহক না পারছে সাধারণ হিসাবে সঞ্চয় করতে না পারছে ফিক্সড ডিপোজিট এ হিসাব খুলতে। যার দরুন অসহায় জনগণের টুকটুক করে জমানো টাকা মধ্য স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে বরাবরের মতো ঠকিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে ফেলছে। কিংবা জমানো অর্থ নানা অজুহাতে খরচের খাতায় উঠে যাচ্ছে। যে অর্থ সঞ্চয় করতে পারলে একদিন সে জমানো অর্থ স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য কিংবা বিপদের ভরসা হতে পারতো।

সাধারণ জনগণ এর অর্থ অপচয় যেন না হয় সেজন্য অতি তাড়াতাড়ি জিপিও তে সাধারণ হিসাব পুনরায় চালু করা জরুরি। তবে সাধারণ জনগণ সঞ্চয় করতে উৎসাহিত হবে। উপরন্তু অনেকে ব্যাংকে সঞ্চয় করার জন্য দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগে এবং ডাকঘর সঞ্চয় এ যেহেতু সাধারণ হিসাবে মুনাফা শতকরা ৭.৫ দেওয়া হয় তাই হত দরিদ্র জনগণ সাধারণ হিসাবে সঞ্চয় করার জন্য উৎসাহ বোধ করে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজয় হোক আগামীর
পরবর্তী নিবন্ধগণতন্ত্র চিন্তা ও অস্থির সময়