জিতেও কপাল পুড়ল ইস্পাহানীর, সুপার ফোরে ব্রাদার্স

চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক | বুধবার , ৯ মার্চ, ২০২২ at ৭:৫৯ পূর্বাহ্ণ

প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার ফোর পর্বের শেষ দলটি হবে কোন দল তা নিয়ে ছিল উত্তেজনা। কারণ গ্রুপ পর্বের শেষ দিনে দু দলের সম্ভাবনা ছিল। ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাব এবং ব্রাদার্স ইউনিয়ন। তবে ইস্পাহানী জিতলে আর ব্রাদার্স হারলে ইস্পাহানীর সুপার ফোর পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু জিতেছে দু দলই। আর তাতে কপাল পুড়ল ইস্পাহানীর। ব্রাদার্স ইউনিয়ন শেষ দল হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোর পর্বে। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাব ৫ উইকেটে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। লিগে গ্রুপ পর্বে সবকটি ম্যাচেই হারল মোহামেডান। অপরদিকে জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সাবেক জাতীয় তারকা রাকিবুল হাসানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির উপর ভর করে পাইরেটস অব চিটাগাংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। আর তাতে পাইরেটসের সাথে এই গ্রুপ থেকে সুপার ফোর পর্বে গেল ব্রাদার্স। এবারের লিগে প্রথম সেঞ্চুরিটি আসল রাকিবুল হাসানের ব্যাট থেকে।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা মোহামেডান শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে। পঞ্চম উইকেটে জুয়েল এবং মাসুদ মিলে যোগ করেন ২৬ রান। আর সেটাই মোহামেডানের ব্যাটিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর বেশি কোন জুটি তুলতে পারেনি। ফলে ৩৯.১ ওভারে ১৩৩ রানে অল আউট হয় মোহামেডান। দলের পক্ষে জুয়েল ১৯, মাসুদ ২৪, সিরাজুল ১৫, জলিল ১০ এবং তুহিন করেন ১৩ রান। ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন মিম এবং ওমর ফারুক। ২টি উইকেট নিয়েছেন মঈনুল। জবাবে ব্যাট করতে নামা ইস্পাহানী স্পোর্টিং ক্লাব ৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। তবে দলের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা আর কোন প্রতিরোধ গড়তে দেয়নি মোহামেডানের বোলারদের। মাত্র ২৬ ওভারে ৫ উইকেট হাতে রেখে জয় নিশ্চিতহ করে ইস্পাহানী। দলের পক্ষে মঈনুল ৩৬ বলে করেন ৪৩ রান। এছাড়া আল আমিন ৩৯, মামুনুর রশিদ ১৫ এবং আবদুল্লাহ আল মামুন করেন ২৯ রান। মোহামেডানের পক্ষে ২টি উইকেট নেন জাকারিয়া মাসুদ।
জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ব্রাদার্স এবং পাইরেটসের মধ্যকার হাই ভোল্টেজ ম্যাচটির দিকে নজর ছিল সবার। তবে সে ম্যাচে পাইরেটস কোন প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেনি। অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে ব্রাদার্সের কাছে। লিগে প্রথম কোন বড় প্রতিপক্ষের সামনে পড়ে খেই হারিয়ে ফেলল পাইরেটস। টসে হেরে ব্যাট করতে নামা পাইরেটসের শুরুটা ছিল একেবারে নড়বড়ে। ১০ রানে দুই ওপেনারকে হারানো পাইরেটসের ব্যাটাররা পারেনি বড় কোন জুটি গড়তে। এক পর্যায়ে ৮৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল পাইরেটস। আসিফ এবং রাজিব ষষ্ট উইকেটে ৪০ এবং নবম উইকেটে ইফরান এবং আরিফ মিলে ৪২ রান যোগ করলে মান রক্ষা হয় পাইরেটসের। ১৯৬ রান করতে সক্ষম হয় পাইরেটস। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন আসিফ। জাতীয় দলের ওপেনার নাঈম শেখ ফিরেছেন মাত্র ৩০ রান করে। এছাড়া মাহমুদুল কবির ১৮, রাজিব ১৪, ইফরান ২২ এবং আরিফ করেন ১৭ রান। ব্রাদার্সের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন নাকিব এবং শাখাওয়াত।
১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ব্রাদার্সের শুরুটাও ভাল হয়নি। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ৪৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর মঈনুল এবং রাকিবুল মিলে যোগ করেন ৬৭ রান। ৩৯ রান করে ফিরেন মঈনুল। তবে রাকিবুল ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। দারুণ এক সেঞ্চুরি করে দলকে পৌঁছে দেন জয়ের বন্দরে। এবারের লিগে এটিই প্রথম সেঞ্চুরি।
তার ঝড়ো ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংসের উপর ভর করে ৩৯.১ ওভারে জয় নিশ্চিত করে ব্রাদার্স। তার ৮৬ বলের ইনিংসটিতে ১৭টি চার এবং একটি ছক্কার মার ছিল। ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন হাসান। পাইরেটসের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন রুবেল, কামরুল এবং ইফরান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিজেকেএস উশু প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ১১ মার্চ শুরু
পরবর্তী নিবন্ধদ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগে রাফা ক্লাবের টানা দ্বিতীয় জয়