জালিয়াতি করে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনের চেষ্টা

বাঁশখালীর এসি ল্যান্ডের চেইনম্যানসহ গ্রেপ্তার ৩

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

জেলা প্রশাসনের এলএ (ভূমি অধিগ্রহণ) শাখা থেকে জালিয়াতি করে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনের অপচেষ্টায় জড়িত একটি চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার তাদেরকে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- উখিয়ার বাসিন্দা জোহুরা, তার বাবা উসমাণ গণি ও বাশঁখালীর এসি ল্যান্ডের চেইনম্যান নেজামুল করিম। তিনি নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা। কোতোয়ালি থানার এসআই মুমিনুল হাসান আজাদীকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের একটি চেক উত্তোলনের অপচেষ্টার অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। একপর্যায়ে উক্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারকৃত জোহুরা মুলত, একটি রেজিস্টার্ড পাওয়ার অব এটর্নী মূলে এলএ শাখায় হাজির হয়ে চেক উত্তোলনের একটি আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা পাওয়ার দাতাদের পরিচয় ও তার সাথে উক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অসংলগ্ন উত্তর দেন। তিনি বলেন, পাওয়ার অব এটর্নী দাতাদের তিনি চেনেন না। তার স্বামী মূলত তার পক্ষে পাওয়ার অব এটর্নী দলিল সম্পাদন করেন। একপর্যায়ে তার স্বামীর সাথে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন- স্বামী প্রবাসী, দুইমাস ধরে তার সাথে কোন যোগাযোগ নেই। পরে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে লোক মারফত উক্ত পাওয়ার দাতাদের সম্পর্কে অনুসন্ধান করা হয়। পাওয়ার অব এটর্নী দলিলে বর্ণিত ঠিকানায় আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল নামের দুইজন লোকের সন্ধান পাওয়া যায়। আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও আবু হেনা মোস্তফা কামাল উভয়েই জানান, তারা জোহুরা নামের কাউকে জমির ক্ষতিপূরণ উত্তোলনের জন্য কোন প্রকার ক্ষমতা অর্পণ করেননি। জেলা প্রশাসন সূত্র আরো জানায়, জোহুরা এলএ শাখা থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে উক্ত চেক উত্তোলনের অপচেষ্টার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নজরে আসে। বিষয়টি থানা পুলিশকে অভিযোগ আকারে জানানো হয়।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান আজাদীকে বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে আমাদের ভূমিকা অত্যন্ত কঠোর। এসব কর্মকাণ্ডের সাথে যারাই জড়িত থাকুক না কেন, কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা!
পরবর্তী নিবন্ধঅতিরিক্ত ভাড়া আদায় দিনভর বাকবিতণ্ডা