রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ে অস্ত্রের কারখানা!

১০ অস্ত্রসহ আটক তিন

উখিয়া ও টেকনাফ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৯ নভেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাহাড়ে অস্ত্র তৈরির কারখানা আবিস্কার করেছে র‌্যাব। সেখানে অভিযান চালিয়ে ১০টি অস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোরে কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের এক্স-৪ ক্যাম্পের গহীন পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃতরা হলো কুতুপালং ক্যাম্প সি-১ জি ব্লকের মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে বাইতুল্লাহ (১৯) ও হাবিব উল্লাহ (৩২) এবং জাহিদ হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ হাছন (২৪)। এছাড়া আরো ৫-৬ জন অস্ত্র কারিগর পালিয়ে যায়। এরা সবাই মিয়ানমার ভিত্তিক উগ্র সন্ত্রাসী গ্রুপ আরসার ক্যাডার বলে রোহিঙ্গারা জানান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খায়েরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে একটি চক্র এ কারখানা তৈরি করে অস্ত্র বানিয়ে আসছিল। এখান থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে কারখানাটি শনাক্ত করা হয়। তারপর আজ ভোরে চার ঘণ্টার বেশি সময় গুলি বিনিময়ের পর কারখানাটি নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে পাঁচটি পিস্তল, পাঁচটি বন্দুক ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান, ক্যাম্পগুলোতে সন্ত্রাসীদের তৎপরতা ঠেকাতে কাজ করছে র‌্যাবের সদস্যরা। আটকদের পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা শেষে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করার প্রক্রিয়া চলছে।
রোহিঙ্গা সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসব অস্ত্র তৈরীর কাঁচামালের যোগানদাতা, কারিগরি সহায়তা ও বুলেট সরবরাহকারী স্থানীয় বাংলাদেশী অস্ত্র ব্যবসায়ীরা। জাতিসংঘ ও অনান্য সহায়তাকারী দেশী-বিদেশী এনজিওগুলো বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ কাজে লোহা লক্কড় ও স্টীল ব্যবহার করে থাকে। মূলত এসবকে অস্ত্র তৈরীর উপাদান হিসেবে ব্যবহার করছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গারা হানাহানি করলে আইনানুগ ব্যবস্থা
পরবর্তী নিবন্ধজালিয়াতি করে ২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনের চেষ্টা