জামিন মেলেনি শাহাদাতের

অপহরণ-নাশকতার দুই মামলা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৮ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:১২ পূর্বাহ্ণ

নগরীর চকবাজার ও কোতোয়ালী থানার পৃথক দুই মামলায় নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের জামিন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে উক্ত দুই মামলায় ডা. শাহাদাতের জামিন চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেন তার আইনজীবী। মহানগর পিপি ফখরুদ্দিন চৌধুরী আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চকবাজার ও কোতোয়ালীর দুটি মামলায় ডা. শাহাদাতের পক্ষে তার আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষে আমরা তার বিরোধীতা করি। আদালত আমাদের বিরোধিতা আমলে নিয়ে জামিন নাকচ করে দেন
ডা. শাহাদাতের আইনজীবী কামরুল ইসলাম সাজ্জাদ আজাদীকে বলেন, সম্প্রতি দায়ের হওয়া তিনটি মামলার ১টিতে কয়েকদিন আগে জামিন পেয়েছেন ডা. শাহাদাত। মঙ্গলবার (গতকাল) অপর দুই মামলায় জামিন শুনানি ছিল। তবে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে দেন।
আদালত সূত্র জানায়, কাজীর দেউড়িতে গত ২৯ মার্চের সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের হয়। একটির বাদী নগর ট্রাফিক পুলিশের (দক্ষিণ বিভাগ) সার্জেন্ট মো. আমজাদ হোসেন। অপরটির বাদী কোতোয়ালী থানার সিআরবি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই রবিউল ইসলাম। সার্জেন্ট আমজাদ হোসেনের মামলায় (মামলা নম্বর ৯৬/৩/২১) ৫৮ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ১৮৯, ৩০৭, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩ ধারা, বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩, ৪, ৫ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫/৩ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এসআই রবিউল ইসলামের অপর মামলায় ( মামলা নম্বর ৯৫/৩/২১) ৪৩ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৮৬, ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩ ধারা ও সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬ (১) এর (ক) (আ) (ই) (উ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ সকালে চকবাজার থানায় ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি ও অপহরণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন নগর বিএনপি নেত্রী ডা. লুসি খান। পরে বিকালে পাঁচলাইশের ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল থেকে ব্যক্তিগত সহকারীসহ ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে চকবাজার থানা পুলিশ। এরপর আদালতের নির্দেশে (গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতে আবেদন করে পুলিশ) কোতোয়ালী থানার দুই মামলাতেও ডা. শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকল্পকাহিনী সাজিয়ে মামলা দেওয়া হচ্ছে : ফখরুল
পরবর্তী নিবন্ধমালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা