বাংলাদেশে নবনিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেছেন, কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরে জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী হয়ে কাজ করেছে এবং ভবিষ্যতেও করবে। দু’দেশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের পরিবেশ আরো সহজ করে তোলার মাধ্যমে বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন রাষ্ট্রদূত।
গতকাল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকমণ্ডলীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন জাপানের রাষ্ট্রদূত। চেম্বার প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে এ মতবিনিময়ে সিনিয়র সহ–সভাপতি তরফদার মো. রুহুল আমিন, সহ–সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তানভীর, পরিচালকবৃন্দ একেএম আকতার হোসেন, মো. অহীদ সিরাজ চৌধুরী (স্বপন), জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, শাহজাদা মো. ফৌজুল আলেফ খান, মো. ইফতেখার ফয়সাল, এসএম তাহসিন জোনায়েদ ও তানভীর মোস্তফা চৌধুরী, দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, জাপানের বে অব বেঙ্গল গ্রোথ বেল্ট ইনিশিয়েটিভের আওতায় বাংলাদেশে চলমান মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হলে তা দেশের অর্থনীতির গেম চেঞ্জারে পরিণত হবে। এছাড়া জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গনাইজেশন (জেটরো) ও চিটাগাং চেম্বারের মাঝে সুসম্পর্কের উল্লেখ করে জাপান বাংলাদেশ ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরো এগিয়ে নিতে উভয় প্রতিষ্ঠান ২০২০ সালে সমঝোতা স্বাক্ষর, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন এবং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ সংশ্লিষ্ট তথ্য বিনিময়ের জন্য সিসিসিআই জাপান ডেস্ক চালু করেছে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন।
পাশাপাশি জেটরো ও জাপান–বাংলাদেশ চেম্বারকে সাথে নিয়ে শীঘ্রই চট্টগ্রামে বে অব বেঙ্গল গ্রোথ সামিট আয়োজনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও চেম্বার সভাপতি জানান এবং এতে জাপানি বিনিয়োগকারী–ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও সহযোগিতা কামনা করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।