জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী

পটিয়া প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১২ মে, ২০২২ at ৫:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ক্রীড়া ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০১৩ পেলেন জাতীয় সংসদের হুইপ, পটিয়া থেকে তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী। গতকাল বুধবার ঢাকা ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার ২০১৩ থেকে ২০২০ প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত থেকে এ পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুরস্কার হিসেবে একটি ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সম্মাননাপত্র ক্রীড়া সংগঠক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার লাভ করেন হুইপ সামশুল হক চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন এবং অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব উপস্থিত ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন। অনুষ্ঠানে খেলাধুলার উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
উল্লেখ্য, সামশুল হক চৌধুরী ১৯৫৭ সালের ২০ জুলাই চট্টগ্রাম জেলার পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮২ সালে শতদল ক্লাবের গভর্নিঙ বডির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে তাঁর আত্মপ্রকাশ। এরপর তিনি সিটি স্টুডেন্টস্‌ ক্লাব, সিটি স্টার ক্লাব ও চট্টগ্রাম আবাহনী ক্রীড়া চক্রের সদস্য মনোনীত হন। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন। ১৯৮৬ সালে চট্টগ্রাম আবাহনী ক্রীড়া চক্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ১৯৯৬ সালে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে অদ্যাবধি মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পৃষ্ঠপোষক কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০০৩ সালে তিনি সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৮-২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি তিনবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফুটবল এসোসিয়েশন (ডিএফএ) এর ২য় বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বিভাগীয় এবং জেলা ফুটবল মনিটরিং কমিটির ২য় বার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ২০১৬ সালে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে অনুষ্ঠিত ফিফা কংগ্রেসে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তিনি ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষে দুই বার জাতীয় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি এএফসির প্রতিনিধি হয়ে বিভিন্ন দেশে ফিফা, সাফ-এর সভায় যোগদান করেন। তিনি শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল ক্লাব কাপ টুর্নামেন্টের স্বপ্নদ্রষ্টা। সামশুল হক চৌধুরী এই পুরস্কার বাংলাদেশের আধুনিক ক্রীড়ার প্রবক্তা ও আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালকে উৎসর্গ করেছেন বলে জানান।
চট্টগ্রামের আরেক ক্রীড়া সংগঠক তানভীর মাজহার তান্না। তিনি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের ম্যানেজার ছিলেন। তিনি ২০১৯ সালে সেরা ফুটবল সংগঠক হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার লাভ করেন। চট্টগ্রামের মানুষ হলেও তিনি ঢাকাতেই বসবাস করেন। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র তান্না বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালকও ছিলেন। এছাড়া কঙবাজারের সন্তান মাহমুদুল ইসলাম রানাও এবারে জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার পেয়েছেন। তিনি তায়কোয়ানডো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীতে গোসলে নেমে পর্যটকের মৃত্যু আরেকজন নিখোঁজ
পরবর্তী নিবন্ধ১০০০ টাকা মূল্যমানের লাল নোট অচল নয় : বাংলাদেশ ব্যাংক