জহুরুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোয়ালখালীর পৌর মেয়র নির্বাচিত

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:৪৪ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালখালী পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন মো. জহুরুল ইসলাম। গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, বোয়ালখালী পৌরসভার নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেয়র প্রার্থী মো. জহুরুল ইসলামের নামে বিধি মোতাবেক গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই। একই সঙ্গে অন্যান্য কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে আইনগত কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকায় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে কোনো জটিলতা নেই। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয় চিঠিতে।
গতকাল নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ সচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয়েছে, আপিল বিভাগ সিএমপি নং ৩৬৮/২০২১ এ বিগত ২৫ আগস্ট তারিখের আদেশের প্রেক্ষিতে বোয়ালখালী পৌরসভার নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মেয়র প্রার্থী মো. জহুরুল ইসলামের নামে বিধি মোতাবেক গেজেট প্রকাশের ক্ষেত্রে আইনগত কোনো বাধা নেই মর্মে কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। একই সাথে মেয়র পদ ব্যতীত অন্যান্য সকল কাউন্সিলর পদে নির্বাচন অনুষ্ঠানে আইনগত কোনো জটিলতা না থাকায় আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।
এই বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য চট্টগ্রাম জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তাসহ বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার বরাবরে অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে।
আমাদের বোয়ালখালী প্রতিনিধি জানান, বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র পদে জহুরুল ইসলাম জহুর, হাজী আবুল কালাম আবু ও মো. ইদ্রিস আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। যাচাই-বাছাইয়ে জহুরুল ইসলাম জহুরের মনোনয়নপত্র বৈধ ও হাজী আবুল কালাম আবু ও মো. ইদ্রিস আলমের মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার। পরবর্তী এ দুই প্রার্থী উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েও তাদের প্রার্থিতা ফিরে পাননি। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. ইদ্রিস আলম বলেন, ‘আমার প্রার্থিতা ফিরে পেতে আমি উচ্চ আদালতে আপিল করেছি। বিজ্ঞ আদালত তা শুনানির জন্য মঙ্গলবার (আজ) দিন ধার্য করেছেন। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন কিভাবে অপর প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করলো তা আমার বোধগম্য নয়।’ এদিকে ইতিপূর্বে বাতিল হওয়া ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সোলাইমান বাবুলকে শেষ পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। উচ্চ আদালতের রায়ে তিনি ব্রিজ প্রতীক পেয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনগরীর মাত্র এক তৃতীয়াংশ বাড়িতে ওয়াসার সংযোগ
পরবর্তী নিবন্ধকর্নেল হাট মোড়ে তুলকালাম