জনদুর্ভোগের এ কেমন চিত্র!

| বুধবার , ১১ নভেম্বর, ২০২০ at ৪:৫৮ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার শেখেরখীল-ছনুয়া সড়কের চেইনেজ ৫১০০ মি. এ মৌলভীবাজার জলকদর খালের উপর ৩৬.০০ মি দৈর্ঘের পিসি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণের জন্য চুক্তি হয় ৮ আগস্ট ২০১৭ সালে। এবং চুক্তিতে এই কাজের সমাপ্তি হবার সম্ভাব্য তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ধরা হলেও এখনো ব্রিজটি জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর বাস্তবায়নে এই কাজটির ঠিকাদারি দেওয়া হয় চট্টগ্রামের চকবাজারস্থ মেসার্স নিপা এন্টারপ্রাইজকে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই ২০১৭ সাল থেকে এখন ২০২০ সাল, প্রায় ৩ বছর ধরে উক্ত এলাকার জনদুর্ভোগ যেন ভাষায় প্রকাশ করার নয়। ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে শেষ হবার কথা থাকলেও এখন প্রায় ২ বছর হতে চলছে, তাও ব্রিজের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এই ব্রিজের উপর নির্ভর করে আছে শেখেরখীল-ছনুয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ। এমনকি এই ব্রিজটির কারণে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকরা তাদের কৃষিজাত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। ব্রিজের কাজ চলাকালীন সময় পাশে একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে মানুষ যাতায়াতের ব্যবস্থা হিসেবে বিকল্প পন্থা অবলম্বন করে চলছে। কিন্তু দীর্ঘ বিরতির কারণে সাঁকোটিও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার মেরামত করতে হয়েছে। এমনকি বর্তমানে তা অনেকটা পারাপার অযোগ্য হয়ে পড়ছে। ব্রিজের পশ্চিম পাড়ের শেখেরখীল-ছনুয়া দুইটি ইউনিয়নের প্রায় বিশাল অংশের একমাত্র হাটবাজার হচ্ছে ব্রিজের পূর্ব পাড়ের মৌলভীবাজার। বাজার-সদাই, উচ্চ বিদ্যালয়, মাদরাসা সবই পূর্ব পাড়ে হওয়াতে শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থী, নারী, বৃদ্ধ, রোগী থেকে শুরু করে সবারই উক্ত বাঁশের সাঁকোই একমাত্র পারাপার মাধ্যম। ফলে পরিস্থিতি এমন যে, নিত্যদিনই ঘটছে উক্ত বাঁশের সাঁকোতে কোন না কোন দুর্ঘটনা। সেই সাথে কোন এক অদৃশ্য কারণে প্রায় গত মাস ধরে ব্রিজের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এমতাবস্থায়, এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে এবং তাদের সকলের চাওয়া যেকোন মূল্যে ব্রিজটির কাজ যেন অতিসত্বর সম্পন্ন করে যোগাযোগ উপযোগী করা হয়। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে খতিয়ে দেখার বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
নেজাম উদ্দিন, ছনুয়া, বাঁশখালী, চট্টগ্রাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅ্যাঙ্গোলার স্বাধীনতা দিবস
পরবর্তী নিবন্ধঅস্তিত্ববাদী দর্শনের প্রবক্তা সোরেন কিয়ের্কেগার্ড