চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে নগরীর দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয় সম্মুখ চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কর্মসূচিতে সভাপতিত্বে করেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। এতে বক্তারা বলেন, বিএনপি জামাত কোনোদিন সংবিধান সম্মতভাবে ক্ষমতায় আসেনি।
যদি সত্যিই সংবিধান অনুসৃত বিধিমালায় হয় তাহলে স্বাধীনতা বিরোধী এই দু–দলের নির্বাচনের কোনো অধিকার নেই। বিএনপিতে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের গায়ে স্বাধীনতা বিরোধী জামাতের পৃষ্ঠপোষকতার সিলমোহর আছে। এদের ভাবধারায় নতুন প্রজন্মকে বার বার ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। এই অপব্যাখ্যার সংশোধন করার জন্য নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে, থাকবে।
গতকাল বুধবার সকাল ১১টায় বিএনপি–জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয় সম্মুখ চত্বরে উক্ত অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নয়, বিএনপি–জামাত জোট হুমকি দিচ্ছে দেশকে অস্থিতিশীল করবে, আগুন সন্ত্রাস চালাবে এজন্যই আওয়ামী লীগ জনগণের জানমাল রক্ষায় রাজপথে আছে, রাজপথে থাকবেই। কারণ আওয়ামী লীগ জনগণের সংগঠন।
বিএনপি ক্যান্টনমেন্ট থেকে জন্ম নেওয়া তাই জনগণের দল নয়। এরা সাধারণ মানুষের ধর্মবোধকে উপজীব্য করে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে ক্ষমতায় এসে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনাকে নসাৎ করেছে। বিএনপি জামাত পরিষ্কার অর্থে স্বাধীনতার প্রতিপক্ষ তাদের অস্তিত্ব নির্মূল করতে হবে। এই অপশক্তির বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ রাজপথে অবস্থান নিয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে নঈম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমরা যারা দেশকে ভালবাসি তাদেরকে রাজপথে থেকেই কঠিন সত্যের মুখোমুখি হতে হবে। এই সত্যটি হলো বাংলাদেশ থাকবেই এবং এর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীরা যে ফনা তুলেছে তাকে পাল্টা আঘাত দিতে হবে। একই সাথে নতুন প্রজন্মকে পরিশুদ্ধ করে তারা যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায় সেই ব্যবস্থা করে বুঝাতে হবে বাংলাদেশ আমাদের।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট সুনীল কুমার সরকার, এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ শমসের, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, হাজী মো. হোসেন, হাজী জহুর আহমদ, মাহবুবুল হক মিয়া, আব্দুল আহাদ, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, সৈয়দ আমিনুল হক, বখতেয়ার উদ্দীন খান, জাফর আলম চৌধুরী, আব্দুল লতিফ টিপু, মো. জাবেদ, ড. নিছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ, থানা আওয়ামী লীগের হারুনুর রশিদ, হাজী সিদ্দিক আলম, সাহাব উদ্দীন আহমেদ, মমিনুল হক, রেজাউল করিম কায়সার, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের হাজী আলী বঙ, আব্দুল হান্নান, আবুল কাসেম, জামাল উদ্দীন, আবছার উদ্দীন চৌধুরী, মো. ইকবাল হাসান, স্বপন কুমার মজুমদার, জানে আলম, আসিফ খান, আলী নেওয়াজ, নুরুল আলম, আব্দুর রহিম, ইফতেখার আলম জাহেদ প্রমুখ।
