চোখে মরিচের গুঁড়া মাথায় দায়ের কোপ

চকরিয়ায় দোকানে ঢুকে ব্যবসায়ীকে হত্যা

চকরিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ৫ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:৫৩ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক ব্যবসায়ীকে দোকানে ঢুকে প্রথমে চোখে মরিচের গুঁড়া ও পরে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের সরকারি হাইস্কুল সড়কের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে নির্মম পৈশাচিকতায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খুনের শিকার ব্যবসায়ীর নাম লতিফ উল্লাহ (৩৮)। তিনি লোহাগাড়া উপজেলার আধুনগর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুফী মিয়াজী পাড়ার মৃত মোহাম্মদ ইলিয়াছ সওদাগরের পুত্র। তিনি পৌরশহরের বালিকা বিদ্যালয় সড়কেরও একজন পরিচিতি ব্যবসায়ী ছিলেন। বাড়ি লোহাগাড়ায় হলেও দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চকরিয়ায় ব্যবসা করে আসছিলেন তিনি।
পুলিশ জানায়, ঘটনার পর নিহতের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা এবং মরিচের গুঁড়া। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের ধরতে পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নেমেছে। একইসাথে সঠিক কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তাও তদন্ত করা হচ্ছে। পূর্ব শত্রুতা নাকি টাকা লুটের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড তাও বের করার চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ীরা জানান, বালিকা বিদ্যালয় সড়কের পাশাপাশি হাইস্কুল সড়কেও লতিফের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সোমবার রাতে ব্যবসায়িক হিসাব-নিকাশ সেরে বাসায় ফিরতে দোকান বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই মুহূর্তে কয়েকজন দুর্বৃত্ত দোকানে ঢুকে চেহারা লক্ষ করে প্রথমে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। তারা ক্যাশবাঙ থেকে টাকা লুট এবং মাথা লক্ষ করে ধারালো দা দিয়ে উপর্যপুরি তিনটি কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার এবং সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ধারালো দা এবং মরিচের গুঁড়া জব্দ করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতা নাকি টাকা লুটের উদ্দেশ্যে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে তা বের করার চেষ্টা চলছে। কারণ নিছক টাকা লুটের জন্য এমন পৈশাচিকতা যথেষ্ট সন্দেহজনক।
ওসি জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের শনাক্তপূর্বক গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল অভিযান শুরু করেছে। এই ঘটনায় এখনো (মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত) পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধথামছে না দুই শিশু কন্যার কান্না
পরবর্তী নিবন্ধখুলশীতে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়েছে রেলের ভূ-সম্পত্তি বিভাগ