চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হতে হবে

মা ও শিশু হাসপাতালে এমপি ওয়াসিকা ।। ডা. সাহিদা করিম অবস অ্যান্ড গাইনি ওয়ার্ড উদ্বোধন

| রবিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৫০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল সেক্রেটারী ও সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিমের সহধর্মিনী, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ মরহুম ডা. সাহিদা করিমের নামে গতকাল শনিবার হাসপাতালের নতুন ভবনের ৪র্থ তলায় ডা. সাহিদা করিম অবস অ্যান্ড গাইনি ওয়ার্ডের উদ্বোধন করা হয়। হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর এম এ তাহের খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ও ইনার হুইল ইন্টারন্যাশনালের সাবেক বোর্ড ডাইরেক্টর ও লিটল জুয়েলস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা দিলরুবা আহমেদ। বক্তব্য দেন, হাসপাতালের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক জেনারেল সেক্রেটারী ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, সাবেক ট্রেজারার ডা. মাইনুল ইসলাম মাহমুদ, সানশাইন গ্রামার স্কুলের সাবেক প্রিন্সিপাল সাফিয়া গাজী রহমান, চমেকহার অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর শাহানারা চৌধুরী, প্রফেসর (ডা.) এ এস এম ফজলুল করিম ও ডা. সাহিদা করিমের জ্যেষ্ঠ সন্তান ডা. জিয়া করিম, কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মোহাম্মদ মোরশেদ হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মান্নান রানা, জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ, সদস্য প্রফেসর কামরুন নেসা রুনা, প্রফেসর নাসির উদ্দিন মাহমুদ, চমাশিহা মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল প্রফেসর এ এস এম মোস্তাক আহমেদ, হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. নূরুল হক, ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের পরিচালক প্রফেসর ওয়াজির আহমেদ, কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আবু তারেক ইকবাল ও অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর সিরাজুন নুর রোজী। প্রধান অতিথি ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিম ও ডা. সাহিদা করিম পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের দীর্ঘকালের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশে আধুনিক মেটারনিটি সার্ভিসের অন্যতম প্রবক্তা। চট্টগ্রামে বেসরকারি খাতে চিকিৎসা সেবা তথা মেটারনিটি স্বাস্থ্য সেবা তাঁর হাত দিয়েই শুরু হয়। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালেও তিনি প্রথম গাইনি ওয়ার্ড চালু করেন এবং নিজ উদ্যোগে এখানে মেটারনিটি চিকিৎসা সেবা চালু করেন। যা আজ হাসপাতালের অন্যতম বিশেষায়িত বিভাগ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর অবদান ও স্মৃতিকে ধরে রাখার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য এবং হাসপাতালের অবস অ্যান্ড গাইনি ওয়ার্ডকে ডা. সাহিদা করিম অবস অ্যান্ড গাইনি ওয়ার্ড নামকরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি আরো বলেন, প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিম বাংলাদেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের অন্যতম পথিকৃৎ। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের স্বপন্দ্রষ্টা ও অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর হাত ধরেই আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে এই প্রতিষ্ঠান তার যাত্রা শুরু করে। আজ চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল সমগ্র বাংলাদেশে একটি পরিচিত নাম। চিকিৎসা সেবায় সরকারের পাশাপাশি আপনারা বেসরকারি পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। হাসপাতালে অনেক নতুন নতুন চিকিৎসা সেবা সংযুক্ত হয়েছে। করোনাকালীন করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের ভূমিকা দেশবাসী আজীবন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে। বাংলাদশের চিকিৎসকগণ অত্যন্ত দক্ষ, তবে বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতাল ব্যবস্থাপনায় অধিক মনযোগী হতে হবে। প্রধান অতিথি এই হাসপাতালের উন্নয়নে তার নিজের পক্ষ থেকে এবং সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব সকল সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। বিশেষ করে গ্রান্ট ইন এইড খাতে হাসপাতালের অর্থ বরাদ্ধ বৃদ্ধির বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। বিশেষ অতিথি সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি বলেন, ডা. সাহিদা করিম আমাদের পরিবারেরও একজন চিকিৎসক ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অত্যন্ত নিয়ম শৃঙ্খলাপরায়ন ছিলেন। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল চট্টগ্রামবাসীর চিকিৎসা সেবার জন্য একটি ভরসাস্থল। বিশেষ অতিথি দিলরুবা আহমেদ বলেন, ডা. এফ করিম ও ডা. সাহিদা করিম পরিবারের সাথে আমাদের সম্পৃক্ততা কয়েক জেনারেশন ধরে। আমরা ইনার হুইলের পক্ষ থেকে ডা. সাহিদা করিমের হাত ধরেই এই হাসপাতালের মেটারনিটি বিভাগের জন্য অনেক কাজ করেছি। বিশেষ করে ডা. সাহিদা করিম তখন ইনার হুইল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট। সেসময় তাঁর নেতৃত্বে এই হাসপাতালে মেটারনিটি ওয়ার্ড চালু করা হয়। ডা. জিয়া করিম তার মায়ের নামে হাসপাতালের অবস অ্যান্ড গাইনি ওয়ার্ড নামকরণ করায় পরিবারের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠানে প্রফেসর ডা. এ এস এম ফজলুল করিম অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের সামনে ডা. সাহিদা করিমের নামে স্থাপিত ম্যুরাল আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন এবং প্রধান অতিথি ফিতা কেটে নবনির্মিত অবস অ্যান্ড গাইনি ওয়ার্ডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিমকে মা ও শিশু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা ও হাসপাতালের উন্নয়নে অসামান্য অবদান ও হাসপাতালকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে আসার জন্য লাইফটাইম অ্যাচিভম্যান্ট অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। তাঁর জীবনী উপস্থাপন করেন ডা. সালমা আক্তার সিমু। অনুষ্ঠানে তাঁকে জেনারেল সেক্রেটারী মোহাম্মদ রেজাউল করিম আজাদ ও তার সহধর্মিনী ফাতেমা ইসলাম লিজার পক্ষ থেকে এবং হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেফাতুজ্জাহান, ডা. সামিরা তৌফিক রেশমা ও ডা. ইন্দিরা চৌধুরীর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক রোটারী গভর্নর এম এ আহাদ, কার্যনির্বাহী কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মো. জাবেদ আবছার চৌধুরী, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারী আজিজ নাজিম উদ্দিন, ট্রেজারার অধ্যক্ষ লায়ন ড. মোহাম্মদ সানাউল্লাহ, অর্গানাইজিং সেক্রেটারী মোহাম্মদ সাগির, সদস্য খায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া, ডা. ফজল করিম বাবুল, মো. হারুন ইউসুফ, ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর অসীম কুমার বড়ুয়া, চমেহার অবস অ্যান্ড গাইনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর চৌধুরী শর্মিলি বড়ুয়া, প্রফেসর ডা. শামিমা সিদ্দিকা রোজী, হাসপাতালের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. এন আই খান, সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডা. মো. বদরুদ্দোজা, উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, উপ-পরিচালক (মেডিকেল এ্যাফেয়ার্স) ডা. এ কে এম আশরাফুল করিম, উপ-পরিচালক (ফিন্যান্স) মো. মনজুরুল আলম চৌধুরী, হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, ডাক্তার, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ প্রফেসর এ এস এম ফজলুল করিম ও ডা. সাহিদা করিমের পরিবারের সদস্যবৃন্দ। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন ডা. ফারাহ নাজ মাবুদ সিলভি। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএকসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম
পরবর্তী নিবন্ধগুলি, জেল আর সহ্য করা হবে না : ফখরুল