চা শ্রমিকদের প্রতি অবিচার; জরুরি সমাধান চাই

| বৃহস্পতিবার , ২৫ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

সম্প্রতি চা-শ্রমিকেরা তাদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে। দিয়েছে কর্মবিরতি। তাদের জোর দাবি তাদের মজুরি যেন ১২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু মালিকপক্ষ সেটা মানতে নারাজ। এখন একটি প্রশ্ন যদি সেই মুনাফালোভী মালিক ছাড়া দেশের প্রতিটি সাধারণ জনগণের কাছে করা হয় যে, একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকা তা কতটুকু যৌক্তিক। সবাই কোনোরকম চিন্তা না করেই উত্তর দিবে, বর্তমান সময়ের জন্য এতো খুব নগণ্য। আসলেই নগণ্য। বর্তমান সময়ের সাথে তুলনা করলে একজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি হিসেবে এই ৩০০ টাকা খুবই নগণ্য। চা শ্রমিকরা সেই নগণ্য অঙ্কটাই চেয়েছে। যেখানে তাদেরকে এখন দেওয়া হচ্ছে মাত্র ১২০ টাকা মজুরি। দ্রব্যমূল্যের দিকে তাকালে বুঝা যাবে একটি একেবারে ছোট পরিবার কোনো রকম চলতে গেলেও মাসে অন্তত দশ থেকে পনেরো হাজার টাকা খরচ আছে। তাও জুটবে কটা ভাত আর ডাল। বেশিতে একটু সবজি। মাছ, মাংসের আশা করা তো আকাশকুসুম কল্পনা। যেখানে বর্তমান মজুরি হিসাব করলে মাসের প্রত্যেকটা দিন কাজ করলে হাতে আসে মাত্র ৩৬০০ টাকা। এক পরিবারের ২ জন কাজ করলে উভয়ের টাকা যোগ করে হয় ৭২০০ টাকা। তাও সেই সর্বনিম্ন খরচের ধারে কাছেও যেতে পারে না আয়ের অঙ্ক। এমতাবস্থায় এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে তাদের মজুরি বাড়াতেই হবে। তা না হলে দুর্বিষহ দিন কাটাতে হবে সেই অসহায় শ্রমিকদের। এটা এক প্রকার তাদের প্রতি নির্যাতন। শ্রমিকের প্রতি এভাবে নির্যাতন করার অধিকার কারো নেই। এবং এই নির্যাতন জনসাধারণ কোনোভাবেই মেনে নিবে না। তাই মালিকপক্ষের প্রতি আহবান থাকবে যাদের কারণে, যাদের শ্রমে আপনাদের পেট ভালো আছে দয়া করে তাদের পেটে লাথি দিবেন না। তাদের দাবি মেনে নিয়ে তাদেরকে ভালো রাখুন, আপনারাও ভালো থাকুন, দেশকেও ভালো রাখুন।
মশিউর রহমান আবির
শিক্ষানবিশ আইনজীবী,
চট্টগ্রাম জজ কোর্ট।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনীল আর্মস্ট্রং : চাঁদে অবতরণকারী প্রথম ব্যক্তি
পরবর্তী নিবন্ধচুক্তি ছিলো না এমন