চারদিন ধরে মানুষ পড়ছিল ওই নালায়

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের বিরুদ্ধে ক্ষোভ স্থানীয়দের

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৪:৩৬ পূর্বাহ্ণ

চারদিন ধরে নালাটিতে মানুষ পড়ছিল। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন পা পিছলে পড়েছিল ভয়াল ওই নালায়। তবে হতভাগ্য সাদিয়া ছাড়া বাকিরা উদ্ধার পেয়েছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তার মাঝের ২০ ফুট অংশ ঘিরে ফেলা হয়েছে। এর দুই পাশে চার লেনের গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করতে রাস্তা বড় করা হয়েছে। রাস্তা বড় করায় জ্যাকসের সামনের নালার পাশে ফুটপাত একেবারে সরু হয়ে যায়। রাস্তার অবস্থা ভয়াবহ। ধানক্ষেতের চেয়েও খারাপ হয়ে উঠা রাস্তাটির ওই অংশ দিয়ে পথচারীদের পথ চলার কোন সুযোগ নেই। তাই পথচারীদের সরু ফুটপাতের উপর দিয়ে নালাটি পার হতে হয়। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে স্থানটি অসম্ভব রকমের পিচ্ছিল হয়ে উঠে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স রাস্তাটি বড় করতে গিয়ে ফুটপাত ভেঙ্গে রাস্তা বানিয়েছে। এতে ফুটপাত একেবারে সরু হয়ে গেছে। সরু হওয়া এই স্থানটি পার হওয়ার সময় গত চারদিন ধরে বেশ কয়েকজন মানুষ নালায় পড়েছে। কিন্তু সাথে সাথে উদ্ধার করাও সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সোমবার রাতে সাদিয়া পড়ে গেলেও তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম জানান, আগের দিন দুপুরে তিনজন একসাথে পথ চলার সময় একজন ড্রেনে পড়ে যায়। তার সাথে অপর দুইজন সাথে সাথে লাফ দিয়ে ড্রেনে নেমে তাকে উদ্ধার করে। এর আগেও তিনজন পড়েছিল নালাটিতে। তিনি বলেন, নালার বেশির ভাগ অংশই ময়লার ভাগাড়। ময়লার উপর পড়লে হতভাগ্য ছাত্রীটি তলিয়ে যেতো না। সরু একটি স্থানে পানি ছিল। ওই স্থানটিতে পড়ে যায় সাদিয়া। সাত ফুটের মতো গভীরে পড়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারায় সাদিয়া। স্থানটিতে একের পর এক মানুষ পড়লেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স নিরাপদে পথচারী চলাচলের জন্য কোন ব্যবস্থা করেনি বলে অভিযোগ করেন কামরুল ইসলাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে জননিরাপত্তার বিষয় উপেক্ষা করছে সিডিএ
পরবর্তী নিবন্ধস্বপ্ন ছিল স্বনির্ভর হওয়ার