চারতলায় উঠলেও মাকে বাঁচাতে পারেননি শামীম

| শনিবার , ১০ জুলাই, ২০২১ at ৬:৩০ পূর্বাহ্ণ

নারায়ণগঞ্জের হাসেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় আগুন লাগার পর মাকে বাঁচাতে ভবনটির চারতলায় উঠেছিলেন শামীম। কিন্তু আগুনের তীব্রতায় নিচে নেমে আসতে বাধ্য হন। গতকাল শুক্রবার বিকালে আগুনে পোড়া হাসেম ফুডস কারখানা থেকে উদ্ধার হওয়া ৪৯টি লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর পর মায়ের খোঁজে সেখানে এসেছিলেন এই তরুণ। তিনি জানালেন, তাদের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জ সদরে। তাদের পুরো পরিবার রূপগঞ্জের নতুন বাজার এলাকায় থাকত। তার মা অমৃতা বেগম (৩৮) মাসখানেক ধরে কারখানায় কাজ করতেন। খবর বিডিনিউজের।
শামীম বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে আগুন লাগার পর ওই কারখানার সামনে গিয়ে চিৎকার করে তার মাকে ডেকেছিলেন। কারখানার দারোয়ান আমাকে উপরে উঠতে দিচ্ছিল না। ঝগড়া করে ঢুকেছিলাম এবং চারতলায় উঠেছিলাম। কিন্তু আগুন বেড়ে যাওয়ায় আবার নিচে নেমে আসি।
তিনি বলেন, প্রথমে নিচতলায় আগুন লাগলেও তা নিভে যায়। পরে চারতলায় আগুন দেখা যায়। চারতলার দারোয়ান কাউকে নামতে দেয়নি। দারোয়ান আসতে দিলে আমার মা বের হয়ে আসতে পারত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে শামীম বলেন, আমার মা এখন কোথায় জানি না। বেঁচে আছেন না…!
মায়ের খোঁজে কিশোরগঞ্জ সদর থেকে মর্গে এসেছেন দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, তার মা মিনা আক্তার (৪০) ওই কারখানায় কাজ করতেন। আগুন লাগার পর থেকে তার মায়ের কোনো খোঁজ পাচ্ছেন না। শান্তা মনি আক্তার (১৪) নামে আরও একজনের খোঁজে মর্গে এসেছেন তার স্বজনরা।
উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস, কোমল পানীয় ও বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী তৈরির ওই কারখানায় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আগুন লাগে। ইউএনও শাহ নুসরাত বলেন, অনেক লাশ শনাক্ত করার মতো অবস্থায় নেই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশর্ট সার্কিট থেকে মেট্রোপলিটন হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড
পরবর্তী নিবন্ধকরোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় চার সদস্যের বিভাগীয় টাস্কফোর্স