চাঁদে যাওয়া প্রথম নারী কে হবেন

| মঙ্গলবার , ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ at ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ

আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা চাঁদে আবার মানুষ নেওয়ার জন্য তাদের পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেছে। ২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে ২০২৪ সালের মধ্যে আবার চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মিশনের অংশ হিসাবে প্রথমবারের মতো একজন নারী চাঁদের বুকে পা রাখবেন।

নাসার এই প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়েছে আর্টেমিস। ১৯৭২ সালে চাঁদের বুকে মানুষের প্রথম অবতরণের পর এবার এই প্রকল্পে নাসা একজন পুরুষ এবং একজন নারীকে চাঁদে পাঠাবে। নাসা বলছে, তারা যে পরিকল্পিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে তা ঠিক রাখতে হলে কংগ্রেসকে ৩২০ কোটি ডলারের তহবিল সময়মতো দিতে হবে। কারণ নির্ধারিত সময়ে চাঁদের বুকে নামতে হলে সময়মতো একটা অবতরণ ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। নভোচারীরা অ্যাপোলোর মতো একটি ক্যাপসুলে ভ্রমণ করবেন। এর নাম দেওয়া হয়েছে ওরিয়ন। এসএলএস নামে একটি রকেট এটি উৎক্ষেপণ করবে। খবর বিবিসি বাংলার।

চাঁদে যাওয়া প্রথম নারী হবেন কে : নাসার প্রশাসক জিম ব্রাইডেনস্টাইন ২০১৯ সালের জুলাইয়ে বলেছিলেন, ২০২৪ সালে চাঁদের বুকে প্রথম পদচারণা করবেন যে নারী তিনি হবেন এমন একজন, যার মহাকাশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আছে। নভোচারী গোষ্ঠীর মধ্যে থেকে কাউকে এই মিশনের জন্য বেছে নেওয়া হবে।

ওই সাক্ষাৎকারের সময় ১২ জন নারী নভোচারীর নাম সামনে এসেছিল। এরপর আরও পাঁচজন নারী নভোচারী নাসার তালিকাভুক্ত হয়েছেন। এ বছরের গোড়ায় প্রশিক্ষণ শেষ করে তারা নাসায় যোগ দিয়েছেন। তবে যোগ্যতার জন্য যেসব মাপকাঠি নির্ধারণ করা হয়েছে, আগামী চার বছরের মধ্যে সেগুলো অর্জন করে মিশনের জন্য তারা তৈরি হতে পারবেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়।

নভোচারী হওয়ার জন্য স্নাতক পর্যায়ে এ বছর যারা সফলভাবে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন তাদের মধ্যে ছয়জন নারী আছেন। এদের ৫ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন নাসায়, একজন ক্যানাডিয়ান স্পেস এজেন্সিতে।

হোয়াইট হাউসও চাঁদে আবার নভোচারী পাঠাতে আগ্রহী। কারণ আমেরিকা চায় মহাকাশ চারণায় তাদের নেতৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে। কারণ, চীন এখন চীনা নভোচারীদের জন্য নতুন প্রজন্মের মহাকাশযান তৈরি করছে, যা চাঁদে পাঠানোর উপযোগী। তবে ২০২৪ সালের মধ্যে চীন এই মহাকাশযান বানাতে পারবে এমন ইঙ্গিত নেই।

নাসা পরিকল্পনা করছে, চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে যে বরফপানি জমে রয়েছে, সেই মূল্যবান নমুনা সংগ্রহ করে আনা। এটা থেকে চাঁদেই স্বল্প খরচে রকেটের জন্য জ্বালানি তৈরি করা সম্ভব হতে পারে। এটা করা গেলে পৃথিবী থেকে রকেটের জন্য জ্বালানি বহন করে নিয়ে যেতে হবে না। এটা চান্দ্র অর্থনীতির ভিত তৈরি করবে।

আর্টেমিস ওয়ান ২০২১ সালের শরতে পাঠানো হবে। অ্যাপোলো ১৭ চাঁদে অবতরণ করার ৪৮ বছর পর এটাই হবে আমেরিকার চন্দ্র মিশন, যেখানে নভোচারীরা আবার চাঁঁদের বুকে পা রাখবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে নতুন শনাক্ত আরও ৫৬ জন
পরবর্তী নিবন্ধকালারমারছড়া ইউপি চেয়ারম্যানের সাড়ে ৬ লাখ টাকা জব্দ