চসিক জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে ফাইজারের টিকাদান শুরু আজ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ৩০ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:২৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে ফাইজারের টিকাদান। এতদিন নগরের কেবল দুটি কেন্দ্রে ফাইজারের টিকার প্রয়োগ চলছিল। টিকাদান শুরুর মাধ্যমে ফাইজারের টিকাদানের কেন্দ্র সংখ্যা আজ থেকে তিনে দাঁড়াল। চসিক জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রে আজ থেকে ফাইজারের টিকাদান শুরুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা সার্বিক ভাবে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। শনিবার থেকেই ফাইজারের প্রথম ডোজ টিকার প্রয়োগ শুরু হচ্ছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মহানগরে ফাইজারের টিকাদান শুরু হয় গত ১৬ অক্টোবর। ওইদিন থেকে মহানগরের দুটি কেন্দ্রে (চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও বন্দর হাসপাতাল কেন্দ্রে) ফাইজারের এ টিকার প্রয়োগ চলছে। পরবর্তীতে চসিক জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রেও ফাইজারের টিকা প্রয়োগের অনুমতি চেয়ে গত ২০ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চিঠি দেয় চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগ। এর প্রেক্ষিতে চসিক জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রেও ফাইজারের টিকা প্রয়োগে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর অনুমতি দেয় বলে জানান চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী। আর নতুন করে ফাইজারের টিকা পেলে ওই কেন্দ্রে (চসিক জেনারেল হাসপাতাল) ফাইজারের টিকাদান শুরুর কথা জানিয়েছিলেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। গত ২৬ অক্টোবর নতুন করে ১৮ হাজারের কিছু বেশি ডোজ ফাইজারের টিকা চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। নতুন টিকা পাওয়ায় শনিবার থেকে চসিক জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রেও ফাইজারের টিকাদান শুরু হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন।
প্রসঙ্গত, সংরক্ষণ জটিলতায় যেখানে সেখানে ফাইজারের টিকাদানের সুযোগ নেই। শুধু শীতাতপ নিয়ন্ত্রন যন্ত্র (এসি) সুবিধা থাকা কক্ষে এ টিকা প্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। চসিক জেনারেল হাসপাতাল কেন্দ্রেও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে ফাইজারের টিকাদানে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী।
প্রথম দফায় গত ১১ অক্টোবর দিবাগত রাতে ফাইজারের ১৬ হাজার ৩৮০ ডোজ টিকা চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর থেকে দুটি কেন্দ্রে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হয়। যে দুটি কেন্দ্রে ফাইজারের প্রথম ডোজ দেয়া হচ্ছে, সে দুটি কেন্দ্রে অন্যান্য টিকার প্রথম ডোজ প্রয়োগ বন্ধ রয়েছে। যদিও দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগ চলমান রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএবার তীরে এসে ডুবল তরী
পরবর্তী নিবন্ধ৫-১৬ বছরের ১৯ লাখ শিশুকে ওষুধ খাওয়ানো হবে চট্টগ্রামে