মৌচাকেই বন্দি থাকতে হবে মৌমাছিদের। এক প্রাণঘাতী ভাইরাসের হাত থেকে মৌমাছিদের বাঁচাতে সম্প্রতি এই ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়ার প্রশাসন। রোগ যাতে না বাড়ে, তাই কোয়ারেনটাইন জোন বানিয়ে রোগগ্রস্ত কয়েক লক্ষ মৌমাছিকে আলাদা করা হয়েছে। লাগাম টানা হয়েছে কাছাকাছি এলাকার মৌমাছি চাষের কেন্দ্রগুলিতেও। ঠিক যেমন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন ঘোষণা করে ঘরবন্দি করা হয়েছিল মানুষকে।
নিয়ম যাতে মানা হয়, তার জন্য পুলিশও মোতায়েন করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় অবশ্য এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যারা মৌমাছির চাষ করেন এবং তাদের দেখভাল করেন অর্থাৎ বি-কিপারদের। মৌচাক থেকে বেশি দূরে যেতে পারবে না মৌমাছিরা। প্রহরীদের কড়া নির্দেশে বলা হয়েছে, মৌমাছিদের গতিবিধি যে কোনও মূল্যে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। দিন কয়েক আগেই অস্ট্রেলিয়ায় এক পরজীবী পোকার প্রাদুর্ভাব হয়েছে।
আকারে একটি তিলের দানার থেকেও ছোট এই পোকা মৌমাছিদের শরীরে থেকে ভাইরাস ছড়ায় বলে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। ওই ভাইরাসেই আক্রান্ত হয়ে মারা যায় মৌমাছিরা। ফলে রোগ ছড়ালে অস্ট্রেলিয়ার মধু ব্যবসায়ীদের কয়েক কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। উদ্বেগ থেকেই আগাম সতর্ক হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছে তারা। পরজীবী ওই পোকার নাম ভারোয়া ডেস্ট্রাক্টর।












