চমেক হাসপাতাল গাইনি ওয়ার্ড থেকে ধরা আরো এক দালাল

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ১১ আগস্ট, ২০২২ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল থেকে আরো এক দালালকে আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডের (৩৩ নং ওয়ার্ড) ভিতর থেকে জাহাঙ্গীর হোসেন (৪১) নামে ওই দালালকে আটক করা হয়। তিনি নগরীর ২ নং গেইটের আলফালাহ গলির বাসিন্দা। আটকের পরপরই তাকে হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে হস্তান্তর করা হয়। হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শহীদুল আজম বলেন, ৩৩ নং ওয়ার্ডে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাঘুরির সময় ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি একটি ফার্মেসির হয়ে এখানে কাজ করেন বলে স্বীকার করেন। তাকে পাঁচলাইশ থানায় রাখা হয়েছে জানিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আদালতে চালান দেয়া হবে বলেও জানান এএসআই শহীদুল।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর হোসেন সবুজ ফার্মেসি নামক একটি ওষুধের দোকানের হয়ে কাজ করেন। ওয়ার্ডে কোন রোগীর জন্য চিকিৎসকরা ওষুধের কোন স্লিপ লিখে দিলে তিনি ওই রোগীর স্বজনকে ফুসলিয়ে নির্দিষ্ট ওই ফার্মেসিতে নিয়ে যান। পরে ওই ওষুধ বাবদ গলাকাটা দাম আদায় করা হয়। বিনিময়ে একটি নির্দিষ্ট অংকের কমিশন পান জাহাঙ্গীর হোসেন। হাসপাতালের সামনে থাকা অনেক ফার্মেসি ওষুধ বেচাকেনায় এভাবে ‘নিজেদের লোক’ (দালাল) নিয়োজিত রেখেছে। তবে এভাবে ওষুধ বিক্রিতে এক হাজার টাকার স্থলে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা বা ক্ষেত্রবিশেষে আরো বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে এসব ফার্মেসির বিরুদ্ধে। হাসপাতালের আশপাশের ২০টিরও বেশি ফার্মেসি এভাবে গরীব-অসহায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
যদিও এসব দালাল, ওষুধ চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গত কয়েক মাসে এ পর্যন্ত বেশ কয়জন দালাল আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। এছাড়া হাসপাতাল থেকে ওষুধ চোর চক্রের একাধিক চক্র হাতেনাতে ধরে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দিয়েছে হাসপাতাল প্রশাসন। এ ধরণের কর্মকান্ডে জড়িতদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবঙ্গবন্ধু হত্যার প্রথম প্রতিবাদ
পরবর্তী নিবন্ধরাঙ্গুনিয়ায় পুত্রবধূ হত্যার অভিযোগ শাশুড়ি গ্রেপ্তার