চবিতে ভর্তি আবেদন শুরু ১৫ জুন পরীক্ষা শুরু ১৬ আগস্ট

ফি বেড়েছে ২০০ টাকা

চবি প্রতিনিধি | বুধবার , ২৫ মে, ২০২২ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার অনলাইন আবেদন শুরু হচ্ছে আগামী ১৫ জুন থেকে। আবেদন শেষ হবে ৩ জুলাই। অনলাইনে আবেদন ফি জমা দিতে হবে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে। ভর্তি পরীক্ষা ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে ২৪ আগস্ট শেষ হবে। আবেদন যোগ্যতায় জিপিএ গত বছরের মতোই রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক) এস এম আকবর হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞাপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একইদিন এই বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সিদ্ধান্তগুলো চূড়ান্ত হয়। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ইউনিট/উপ-ইউনিটে আবেদন ফি ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৭৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর সাথে ১০০ টাকা প্রসেসিং ফিও যুক্ত হবে।

পরীক্ষা পদ্ধতি : ভর্তি পরীক্ষা বরাবরের মতোই ১২০ নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে ১০০ নম্বর লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ) ও বাকি ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসি জিপিএ থেকে যুক্ত হবে। বহুনির্বাচনী পদ্ধতির এই ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর হবে ৪০।
পরীক্ষার সময়সূচি : ১৬ ও ১৭ আগস্ট বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এ ইউনিটের পরীক্ষা, ব্যবসায় অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের পরীক্ষা ১৯ আগস্ট, কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত বি ইউনিটের পরীক্ষা ২০-২১ আগস্ট, সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ডি ইউনিটের পরীক্ষা ২২-২৩ আগস্ট। সর্বশেষ বি-১ ও ডি-১ উপ-ইউনিটের পরীক্ষা ২৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে।

আসন সংখ্যা : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটের বিপরীতে ৪ হাজার ৯২৬টি আসন রয়েছে। সে হিসেবে এ ইউনিটে আসন আছে ১ হাজার ২১৪টি, বি ইউনিটে ১ হাজার ২২১টি, সি ইউনিটে ৪৪২টি ও ডি ইউনিটে ১ হাজার ১৫৭টি। এছাড়া দুইটি উপ ইউনিটের মধ্যে বি১ ইউনিটে আসন রয়েছে ১২৫টি ও ডি১ ইউনিটে ৩০টি আসন রয়েছে। ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://admission.cu.ac.bd) পাওয়া যাবে।

আবেদন যোগ্যতা : ভর্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র যারা ২০১৯ সালে মাধ্যমিক ও ২০২১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে তারাই ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করতে পারবে। পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতায় জিপিএ বাড়ানো হয়নি। ফলে গতবছরের মতো ইউনিটভিত্তিক আবেদন যোগ্যতা এবারও একইরকম থাকছে।

এ ইউনিট : এ ইউনিটের অধীনে রয়েছে চারটি অনুষদ। এগুলো হলো বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং ও মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড ফিশারিজ অনুষদ। আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৮.০০। প্রতিটিতে আলাদাভাবে জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে।

বি ইউনিট : কলা ও মানববিদ্যা অনুষদভুক্ত বি ইউনিটে উচ্চমাধ্যমিকে উত্তীর্ণ সব গ্রুপের শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। মানবিক বিভাগ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ ৭.৫০। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম জিপিএ লাগবে ৮.০০। এ ছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের জন্যও লাগবে জিপিএ ৮.০০। প্রতিটিতে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে। এই ইউনিটে বিভাগ রয়েছে মোট ১৩টি। বি ইউনিটে (নাট্যকলা, চারুকলা ও সংগীত বিভাগ ব্যতীত) মোট সাধারণ আসন ১ হাজার ২২১টি। চারুকলা ও নাট্যকলা বিভাগে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে বি-১ উপ-ইউনিটে আবেদন করতে হবে। আবদেন যোগ্যতা বি ইউনিটের মত। এই উপ ইউনিটে মোট সাধারণ আসন ১২৫টি।

সি ইউনিট : এই ইউনিটে আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা থাকতে হবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৮.০০। উভয় পরীক্ষায় পৃথকভাবে অবশ্যই ৩.৫০ পেতে হবে।

ডি ইউনিট : সব গ্রুপের শিক্ষার্থীরা ডি ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারবে। এখানে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের নয়টি বিভাগ, আইন অনুষদের অধীনে থাকা আইন বিভাগ, ব্যবসায় প্রশাসনের অনুষদের সব বিভাগ রয়েছে। এ ছাড়া আছে জীববিজ্ঞান অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা এবং মনোবিজ্ঞান বিভাগ। ডি ইউনিটে আবেদনের যোগ্যতা হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে (চতুর্থ বিষয়সহ) মোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। প্রতিটিতে আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ পেতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষা অনুষদভুক্ত (ফিজিক্যাল অ্যাডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স) ডি-১ উপ ইউনিটে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে আবেদন করতে হবে। আবেদনের যোগ্যতা একই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহালদায় ‘জালে আটকে’ ডলফিনের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধরাজস্ব আদেশ জাল করে জমির নামজারির চেষ্টা