চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দুদিন আগে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমদ চৌধুরী জুনুর (ঘোড়া) প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। গতকাল রোববার দুপুরে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। জানা যায়, ২৯ মে তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠেয় চন্দনাইশ উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ অপরাধ সংঘটনের জন্য ব্যাখ্যা প্রদানে গতকাল সকাল ১১টায় নির্বাচন ভবনে উপস্থিত হন চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমদ চৌধুরী জুনু। এ সময় তিনি দফা অনুযায়ী জবাব দেন। কমিশন তা শুনে তার প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত দেয়।
উল্লেখ্য, চন্দনাইশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আবু আহমদ চৌধুরী জুনু। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ১৩ মে প্রতীক বরাদ্দ কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর ওইদিন দুপুরে জসীম উদ্দীন আহমেদের (মোটরসাইকেল) প্রতিনিধি মো. মোরশেদুল আলমের সাথে বাক–বিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে উচ্চস্বরে একশত ব্যক্তির লাশ ফেলে দেওয়ার হুমকি দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী আজাদীকে বলেন, চন্দনাইশে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমদ চৌধুরী জুনুর নির্বাচনী আচরণবিধির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে শুনানি ছিল। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ পুরো কমিশনে এর শুনানি হয়। শুনানি শেষে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহমদ চৌধুরীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে।
আবু আহমদ চৌধুরী জুনু বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলেও কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ একতরফাভাবে আমার মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন। আদালতের আশ্রয় নেওয়ারও কোনো সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। শুনানি শেষে দীর্ঘক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পরও নকল না দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি।
