চট্টগ্রাম বিকেএসপিকে ১৬ একরে উন্নীত করা হবে: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

স্কোয়াশ কোর্ট ও কাবাডি ম্যাট উদ্বোধন

ক্রীড়া প্রতিবেদক | শুক্রবার , ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৪:৫৩ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) দেশের ক্রীড়াঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ক্রীড়াবিদ তৈরির কারখানা খ্যাত বিকেএসপি প্রতিটি ইভেন্টে খেলোয়াড় সরবরাহ করে যাচ্ছে। বিকেএসপির চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা হয় ২০১২ সালে। এটি মূলত আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। তিন একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত এই কেন্দ্রটিতে পাঁচটি বিভাগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। যার দুটি সংযোজিত হয়েছে সম্প্রতি। এই দুটি ইভেন্ট হচ্ছে কাবাডি এবং স্কোয়াশ। গতকাল কেন্দ্রটির জিমনেসিয়ামে স্কোয়াশ কোর্ট এবং কাবাডি ম্যাটের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। বিকেএসপি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বিকেএসপি চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কেন্দ্রটি মাত্র তিন একর জায়গার উপর প্রতিষ্ঠিত। যেখানে একটি একাডেমিক ভবন, একটি জিমনেসিয়াম এবং একটি হোস্টেল ভবন রয়েছে। একটি ফুটবল মাঠ থাকলেও সেখানেই মূলত ক্রিকেটের অনুশীলন করানো হয়।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বিকেএসপিকে ১৬ একরে উন্নীত করার প্রক্রিয়া চলছে। সরকার এবং মন্ত্রণালয় নীতিগতভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও সেটা অবশ্যই জমি পাওয়া সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে সরকার এ বিষয়ে বেশ আন্তরিক। তিনি বলেন, হয়তো স্বল্প সময়ের মধ্যে এ কাজ শুরু হবে। সারাদেশে বিকেএসপির ৬টি আঞ্চলিক কেন্দ্র রয়েছে। যার মধ্যে কঙবাজারের রামুতে প্রায় ৩০ একর জায়গার উপর গড়ে তোলা হয়েছে বিকেএসপির রামু কেন্দ্র। সেখানে নানা সুযোগ সুবিধা রয়েছে। তিনি বলেন, এটা ঠিক চট্টগ্রাম কেন্দ্রটি আরো বড় হওয়া দরকার। কিন্তু সে প্রক্রিয়াটা একটু সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তবে আমাদের চেষ্টা থাকবে এটিকে ১৬ একরে উন্নীত করে আরো সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জানান, করোনার কারণে লম্বা সময় ধরে খেলাধুলা বন্ধ রয়েছে। ফলে অনেক স্থাপনা হয়তো ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। খেলাধুলা আবার চালু হয়ে গেলে সে সব স্থাপনা আবার পরিচর্যার মাধ্যমে ঠিক হয়ে যাবে। এখন যেসব খেলাধুলা হচ্ছে সে সব খেলাধুলা আয়োজনে নানা শর্ত মানতে হচ্ছে। বলতে গেলে কঠিন অবস্থায় এখন খেলাধুলা আয়োজন করতে হচ্ছে।
চট্টগ্রামে খেলাধুলার মাঠ সংস্কার কিংবা সংরক্ষণ প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু চট্টগ্রাম শহর সিটি কর্পোরেশনের আওতায় রয়েছে সেহেতু খেলাধুলার মাঠ সংস্কার কিংবা উন্নয়নে তাদের ভূমিকা বেশি। তবে তারা যদি ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা চায় তাহলে মন্ত্রণালয় সে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সারা দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে বর্তমান সরকার নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। সারা দেশে প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হচ্ছে। চট্টগ্রামের খেলাধুলার উন্নয়নে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
বিকেএসপির মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রাশীদুল হাসান চট্টগ্রাম বিকেএসপির আধুনিকায়নের একটি পরিকল্পনা তুলে ধরেন। চট্টগ্রামবাসীর প্রত্যাশা পূরণ এবং তরুণ সমাজকে ক্রীড়ামুখী করার লক্ষ্যে আধুনিক বিকেএসপির পরিকল্পনায় তিনি চট্টগ্রাম বিকেএসপিতে একটি করে ক্রিকেট ও ফুটবল মাঠ, মাঠ সংলগ্ন প্যাভেলিয়ন, মাল্টি স্পোর্টস কমপ্লেঙ, জিম, আধুনিক স্কোয়াশ কোর্ট, তিনটি ক্রিকেট পিচ, একাডেমিক ভবন, মেডিকেল ও ক্রীড়া বিজ্ঞান ভবন, মসজিদ, ট্রেনিজ হোস্টেল, স্টাফ ডরমেটরি, অফিসার ডরমেটরি তৈরির পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। আর ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সেব বিষয়ে বিবেচনা করে চট্টগ্রাম বিকেএসপিকে একটি আধুনিক বিকেএসপিতে উন্নীত করনের প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে বিকেএসপির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) কর্নেল এ কে এম মাজহারুল হক, বাংলাদেশ স্কোয়াশ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলহাজ্ব আলি আব্বাস, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু, মোহাম্মদ ইসমাইল, বিকেএসপি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের উপ পরিচালক তারেক খান সহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী বিকেএসপি কেন্দ্রে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাজারে নতুন নতুন মাদক
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬