জাপানের অর্থায়নে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনের কাজ শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। এই ব্যাপারে জাপানের সাথে চূড়ান্ত কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। আমরা আশা করি বহুল কাঙ্ক্ষিত এ সড়কের কাজ আমরা শেষ করতে পারব। গতকাল বুধবার নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন এবং ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে গেছে। পদ্মা সেতু হওয়াতে সারা বাংলার মানুষ খুশি। সারাদেশে উৎসবের আমেজ, ঢাকা শহরে সাজ সাজ রব। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আর ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন। এ উপলক্ষে সারাদেশ আনন্দে মেতেছে। কিন্তু বিএনপি নেতাদের মনে বড় কষ্ট, বেদনা। তাদের বুকে বড় জ্বালা। যেদিন বিশ্ব ব্যাংক আমাদের চোর, দুর্নীতিবাজ বলে চলে গিয়েছে, সেদিন আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সাথে বলেছিলেন বিশ্ব ব্যাংক না থাকতে পারে, আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করবো। সেই পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। আজ সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। আগামী ২৫ জুন উদ্বাধন হতে চলেছে। আমি মহানগর আওয়ামী লীগকে বলবো-দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী এবং পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের প্রস্তুতি নিন। উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত এই উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি নিন। আজকে বাবু ভাই নেই, দক্ষিণ জেলার সম্মেলন হয়না অনেক দিন।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে। সামনে আসছে মেট্রোরেল। চট্টগ্রামেও হবে মেট্রোরেল। দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশে একমাত্র টানেল কর্ণফুলী টানেলের কাজ শেষ পর্যায়ে। ঢাকা-চট্টগ্রাম ৪ লেনের মহাসড়ক আমরা এখন ৬ লেন করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা এতো এতো উন্নয়ন করেছেন। সবকিছু বৃথা যাবে, ম্লান হয়ে যাবে যদি না আচরণের মাধ্যমে মানুষকে খুশি করা না যায়। মানুষ যদি খুশি না হয়। তাই আমাদের আচরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনার উন্নয়নকে তুলে ধরতে হবে। এসব উন্নয়ন দেশের জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দলের ভিতরে বিভিন্নভাবে ও কারণে যে দুষিত রক্ত জমাট বেঁধেছে তা বের করে দিয়ে আমাদের দলকে পরিশুদ্ধ করতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগের লাখো লাখো নেতাকর্মী জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। কোনো কোনো নেতা বা উচ্চ পদে আসীন কেউ কেউ বিভ্রান্তের চোরাবালিতে পা ডুবিয়েছেন। একদিন তারা ডুবে যাবেন কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনো ডুবে যাবে না। তিনি ঘোষণা করেন চট্টগ্রাম বিপ্লব তীর্থ হিসেবে সারা বিশ্বে খ্যাত। আন্দোলন সংগ্রামে চট্টগ্রাম পুরোভাগে ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এই চট্টগ্রাম বীর প্রসবিনী। এম এ আজিজ, জহুর আহমদ চৌধুরী, এম এ হান্নান, ইছহাক মিয়া, আতাউর রহমান খান কায়সার, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু, সিরাজুল হক মিয়া, এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরী, কাজী ইনামুল হক দানু আওয়ামী লীগের কাণ্ডারী ছিলেন। তাদের হাতে গড়া মহানগর আওয়ামী লীগ সংগঠনগতভাবে সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী। এই ধারা অবশ্যই চলমান রাখতে হবে।
তিনি মহানগর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আয়োজন করতে হবে। সুদূর পাহাড়ে তিন জেলার সম্মেলন হয়েছে। আজকে বাবু ভাই নেই, দক্ষিণ জেলার সম্মেলন হয়না অনেক দিন। প্রধানমন্ত্রী আমার কাছে জানতে চেয়েছেন- সব জায়গায় সম্মেলন হয় চট্টগ্রামে কেন সম্মেলন হয় না? দক্ষিণ জেলায় সম্মেলন আয়োজন করতে হবে। মহানগরে সম্মেলন আয়োজন করতে হবে। সম্মেলনের মাধ্যমে দুঃসময়ের কর্মীদের কাছে আনতে হবে।