চট্টগ্রামে একদিন পর করোনায় আরেকজনের মৃত্যু

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ৩ জুলাই, ২০২২ at ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে একদিন পর করোনায় আক্রান্ত আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলমান ঢেউয়ের সময়ে দুইজনের মৃত্যু হলো। এদিকে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৫০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ১৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।

জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রেরিত চট্টগ্রামের করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি নিয়ে আজকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শনিবার ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ও নগরীর ছয় ল্যাবে চট্টগ্রামের ২৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৫০ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪৫ জন এবং উপজেলার ৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৫১ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৭৩০ জন ও গ্রামের ৩৪ হাজার ৬২১ জন। উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৫ জনের মধ্যে আনোয়ারার ২ জন এবং রাঙ্গুনিয়া, স›দ্বীপ ও বাঁশখালীর একজন করে রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় শহরের একজনের মৃত্যুর ফলে জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৪ জন হয়েছে। এর মধ্যে ৭৩৫ জন শহরের ও ৬২৯ জন গ্রামের।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে সাড়ে চার মাস পর করোনাভাইরাসে এক মহিলার মৃত্যু হয় গত ৩০ জুন। ওইদিন নতুন ৫২ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি চিহ্নিত হয়। সংক্রমণ হার ছিল ১১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এর আগে, এ বছরের ১৫ ফেব্রæয়ারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। ওইদিন ২ হাজার ৭৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ছিল ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে শহরের ২ ও গ্রামের ৪ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৮ জনের নমুনায় শহরের ২৩ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা) ল্যাবে ৫৮ টি নমুনার মধ্যে শহরের ১২ টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়।

বেসরকারি পরীক্ষাগারগুলোর মধ্যে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের একজনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১৯ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটির রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৫ ও গ্রামের একটিতে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ৪ টি নমুনায় শহরের ৩ টিতে সংক্রমণ ধরা পড়ে।

এদিন চট্টগ্রামের জন্য নির্ধারিত ১৭ ল্যাবরেটরির মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরি (আরটিআরএল), বেসরকারি শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, ল্যাব এইড, ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রে কারো এন্টিজেন টেস্ট হয়নি। কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবেও চট্টগ্রামের কোনো নমুনা পাঠানো যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতালে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২৯ দশমিক ৪৯, চমেকহা’য় ২০ দশমিক ৬৯, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ২০, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ৫ দশমিক ২৬, এপিক হেলথ কেয়ারে ১৩ দশমিক ৯৫ ও এভারকেয়ার হসপিটাল ল্যাবে ২৫ শতাংশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধরেহনুমা ফেরদৌসের মৃত্যু : কাউন্সিলরের ছেলে গ্রেফতার