চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন লায়ন মনজুর ভূমিকা দেখার অপেক্ষায়

মমতার সংবর্ধনায় আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক ।। ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা ও টুর্নামেন্ট আয়োজনে কাজ করব : মনজু

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ২৫ অক্টোবর, ২০২১ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক নির্বাচিত হয়ে লায়ন মনজুর আলম মনজু চট্টগ্রামের মানুষকে সম্মানিত করেছেন। চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বহু কাজ এখনো বাকি রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, লায়ন মনজু নিজের জয়যাত্রা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি চট্টগ্রামের ক্রীড়া ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এম এ মালেক বলেন, মানবতা এমন একটি ভাষা যা বধির শুনতে পায়, অন্ধ দেখতে পায়। মনজু সেই মানবতার ফেরিওয়ালা। লায়নিজমের প্রতিটি স্তরে তিনি তার সক্ষমতা দেখিয়েছেন। এবার চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গন লায়ন মনজুর ভূমিকা দেখার অপেক্ষা করছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মমতা আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। লায়ন মনজুর আলম মনজু বিসিবির পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় মমতা এই সংবর্ধনা সভার আয়োজন করে। নগরীর হালিশহরস্থ মমতা কার্যালয়ে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এম এ মালেক আরো বলেন, মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর মতো আনন্দ আর কিছুতেই নেই। মমতা বহুমুখী সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর কাজ করছে। আবার সাবেক গভর্নর লায়ন মনজুর আলম মনজু লায়নিজমের পতাকা সমুন্নত রাখতে দীর্ঘদিন ধরে নিরলসভাবে কাজ করছেন। তিনি বহু মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।
মমতা পরিচালনা পর্যদের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জোসেফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা সভায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন লায়ন রাশেদা মনজুর। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন লায়ন্স ক্লাবস ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি৪ এর গভর্নর লায়ন আল সাদাত দোভাষ, সেকেন্ড ভাইস গভর্নর লায়ন এমডিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক গভর্নর লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়া, সাবেক গভর্নর লায়ন কবির উদ্দীন ভুঁইয়া, কেবিনেট সেক্রেটারি লায়ন এস এম আশরাফুল আলম আরজু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মমতার উপ প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ ফারুক। মমতার কালচারাল ইনস্টিটিউটের কো-অর্ডিনেটর প্রবীর পালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী লায়ন রফিক আহমেদ, সাংবাদিক হাসান আকবর, কাদেরীয়া এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান হাজী শফিক আহমেদ, রাজ হোটেলের পরিচালক এবং বাংলাদেশ সিমেন্ট আয়রণ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের মহাসচিব আশফাক আহমেদ, মমতার সহকারী প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ শাহরিয়ার, মমতার পরিচালক তৌহিদ আহমেদ, সিনিয়র পরিচালক স্বপ্না তালুকদার।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এম এ মালেক আরো বলেন, বিশ্বের প্রতিদিন শত শত মানুষ না খেয়ে মারা যায়। এদের অনেকেই শিশু। আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের দেশে একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায় না। প্রতিদিনই আমরা খাবার পাই। বিধাতা আমাদের সুখে রেখেছেন, তাই আমাদের উপর কিছু দায়িত্বও অর্পন করেছেন। আর তা হচ্ছে কম সৌভাগ্যবান মানুষগুলোর মুখে হাসি ফোটানো। আমরা যদি আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করি তাহলে সমাজ অনেক বেশি বাসযোগ্য হয়ে উঠবে। আজকের সংবর্ধিত অতিথি লায়ন মনজুর আলম মনজু দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়াক্ষেত্রে কাজ করার পাশাপাশি সমাজের অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নেও কাজ করেছেন। এবার তিনি ক্রীড়াক্ষেত্রে আরো অধিক কাজ করতে পারবেন। চট্টগ্রামের ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে বিশেষ করে আউটার স্টেডিয়ামে খেলাধুলার পরিবেশ সৃষ্টি, ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং টুর্নামেন্ট আয়োজনে লায়ন মনজুর আলম মনজু জোরালো ভূমিকা রাখবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি লায়ন রূপম কিশোর বড়ুয়া মনজুর আলম মনজু ‘আমাদের’কে সম্মানিত করেছেন বলে মন্তব্য করে বলেন, মনজুর এই বিজয় লায়নিজমকে সম্মানিত করেছে। চট্টগ্রামকে সম্মানিত করেছে। চট্টগ্রামের ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে লায়ন মনজুর আলম মনজু অতীতের মতো ভবিষ্যতেও নিরলসভাবে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
লায়ন গভর্নর আল সাদাত দোভাষ বলেন, মনজুর আলম মনজু বিসিবি পরিচালক নির্বাচিত হয়ে আমাদের লায়নিজমকে সম্মানিত করেছেন। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে এভাবে জয়ী হয়ে আসা চাট্টিখানি কথা নয় বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সম্মানিত হয়েছি। চট্টগ্রামের ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে মনজুর আলম যত বেশি কাজ করবেন আমরা তত বেশি সম্মানিত হবো।
সংবর্ধনার জবাবে বিসিবির নবনির্বাচিত পরিচালক লায়ন মনজুর আলম মনজু বলেন, মমতা আমাকে সংবর্ধনা দিয়ে শুধু সম্মানিতই করেনি, আমার উপর বাড়তি দায়িত্বও চাপিয়ে দিল। চট্টগ্রামে ক্রিকেট একাডেমি প্রতিষ্ঠা এবং টুর্নামেন্ট আয়োজনে নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করবেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়েছে। ক্রীড়াক্ষেত্রেও আমাদের উন্নয়ন ব্যাপক। আমরা আগামী ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানের জন্য আবেদন জানিয়েছি। ২০২৩ সালে যদি কোন কারণে নাও হয় ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ বাংলাদেশে হবে ইনশা আল্লাহ। তিনি বলেন, আমাদের ক্রীড়ামোদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের ক্রীড়াক্ষেত্রের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ। ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে তিনি নিরলসভাবে কাজ করছেন।
মমতার প্রধান নির্বাহী লায়ন আলহাজ্ব রফিক আহমেদ বলেন, আমরা মানুষকে সম্মান দিয়ে নিজেরা সম্মানিত হতে চাই। লায়ন মনজুর আলম মনজুর এই অর্জন আমাদের গৌরান্বিত করেছে। আমরা আমাদের সেই গৌরবের আনন্দটুকু সবার সাথে শেয়ার করতেই আজকের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি। তিনি বলেন, দীর্ঘ ২৯ বছরে ১৪ বার জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী মমতা সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের উন্নয়নে কাজ করছে। এই ধারা অব্যাহত রেখে ভবিষ্যতেও মমতা চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসামপ্রদায়িক সহিংসতায় দায় ফেসবুকেরও : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা