চট্টগ্রামেও বাড়ছে শনাক্তের হার

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ৪ জানুয়ারি, ২০২২ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রামে গত ৩ ডিসেম্বর ১ হাজার ২০৮টি নমুনা পরীক্ষা হয়। তাতে একজনের শরীরেও করোনা শনাক্ত হয়নি। শনাক্তের হার ছিল শূন্য। ৭ ডিসেম্বর ১ হাজার ৬৮৫ টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ৩ জনের। শনাক্তের হার দাঁড়ায় ০.১৭ শতাংশ। ২৫ ডিসেম্বর শনাক্তের হার ছিল ০.২৭ শতাংশ। ১ হাজার ৭৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল ওইদিন। পরদিন (২৬ ডিসেম্বর) শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ০.৬০ শতাংশ। ২৭ ডিসেম্বর শনাক্তের হার ছিল ০.৮৬ শতাংশ। ২৮ ও ২৯ ডিসেম্বর এ হার ছিল ০.৯৬ শতাংশ। এভাবে ডিসেম্বর জুড়ে করোনা শনাক্তের হার ছিল ১ শতাংশ বা এর সামান্য কম-বেশি। কিন্তু ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসে এ হার বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ ৩ জানুয়ারি (গতকাল) করোনা শনাক্তের হার ঠেকেছে প্রায় ৩ শতাংশে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য পর্যালোচনায় এ চিত্র উঠে এসেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ৩০ ডিসেম্বর শনাক্ত হয় ১৮ জন। শনাক্তের হার ১.৩৫ শতাংশ। নতুন বছরের প্রথম দিনে (১ জানুয়ারি) করোনা শনাক্ত হয় ১৬ জনের। শনাক্তের হার বেড়ে দাঁড়ায় ১.৫৮ শতাংশ। ২ জানুয়ারি ২৩ জনের করোনা পজিটিভ হয়ে শনাক্তের হার দাঁড়ায় ১.৫৬ শতাংশে। সর্বশেষ গতকাল ৩ জানুয়ারি শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ শতাংশে (২.৯৭%)। এদিন ১ হাজার ১৭৫ নমুনা পরীক্ষায় ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের এ সংখ্যা ১ জানুয়ারি শনাক্তের সংখ্যার দ্বিগুনেরও বেশি। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশি। হিসেবে গতকালের শনাক্তের এ সংখ্যা (৩৫ জন) গত কয়েক মাসে চট্টগ্রামে সর্বোচ্চ।
তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিসেম্বরের শেষ দিকে এসে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে চট্টগ্রামে। আর জানুয়ারির প্রথম দিকে এসে শনাক্তের হার যেন লাফিয়ে বাড়ছে।
সংক্রমণ হার বৃদ্ধির বিষয়টি স্পষ্টত দৃশ্যমান জানিয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, সারাদেশেই সংক্রমণ বাড়ছে। চট্টগ্রামেও বাড়ছে। এই সংক্রমণ বৃদ্ধি আমাদের যেন আশঙ্কার ইঙ্গিত দিচ্ছে। ঢাকায় এরইমধ্যে ভাইরাসের অমিক্রন ধরন শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রামেও এ ধরন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। যদিও এ নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে কেবল নির্দেশনা জারির মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভবপর নয়। সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এখনই সতর্ক হতে হবে, সচেতন হতে হবে। বাধ্যতামূলক মাস্ক পরার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার বিকল্প নেই।
সবাইকে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে হবে। করোনা সংক্রমণ নিয়ে ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, হয়তো কিছুদিনের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত আরো কঠোর নির্দেশনা জারি হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএলপিজির দাম আরও কমল
পরবর্তী নিবন্ধরামগড়ে শোবার ঘর থেকে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার