কক্সবাজারের চকরিয়ার মালুমঘাটে প্রয়াত বাবা সুরেশ চন্দ্র শীলের পারলৌকিক শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আচার সেরে ফেরার মুহূর্তে পিকআপ চাপায় পাঁচ ভাই নিহত এবং দুই ভাই-বোন গুরুতর আহত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ।
আজ সোমবার বিকেলে পাঁচটার দিকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে শোকার্ত পরিবারকে দেখতে যান।
এ সময় জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামানের পক্ষ থেকে নগদ এক লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয় পাঁচ পুত্র হারানো মা মৃণালিনী শীলের হাতে। এছাড়া পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শৈবাল দাশ এবং ঢাকার সানন্দা জুয়েলার্সের মালিক রনজিত ঘোষের পক্ষ থেকে দেওয়া আরো নগদ ৫০ হাজার টাকাও প্রদান করা হয় পরিবারের হাতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্ঘটনায় একসঙ্গে নিহত পাঁচ ভাইয়ের স্ত্রী, সন্তান, স্বজনসহ প্রতিবেশী, পুলিশের চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম, চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি, ইন্সপেক্টর মাহতাব উদ্দিন, অপারেশন অফিসার রাজীব চন্দ্র সরকার, ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম আদর প্রমুখ।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনার পর পরই থানা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে নগদ অর্থসহায়তা দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আমাদের জেলা পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান স্যারের পক্ষ থেকে নগদ এক লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি শৈবাল দাশ এবং ঢাকার সানন্দা জুয়েলার্সের মালিক রনজিত ঘোষের পাঠানো আরো নগদ ৫০ হাজার টাকাও প্রদান করা হয়েছে।
চকরিয়া সার্কেলের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির সুখে-দুঃখে সবসময় পাশে থাকবে পুলিশ। এজন্য সার্বক্ষণিক পরিবারটির খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।’
শোকার্ত পরিবারের খোঁজ নিতে আসা জেলা পুলিশের মূখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে বলেন, ‘ইতিহাসের ভয়াবহতম এই দুর্ঘটনায় পরিবারটির যে ক্ষতি হয়ে গেছে তা কোনদিনই পূরণ হওয়ার নয়। সেখানে এই অর্থ কিছুই না। এর পরও পুলিশ সবসময় মানবিক কাজের মধ্য দিয়ে মানুষের মনের মধ্যে রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোটাই মূখ্য হিসেবে দেখেছেন আমাদের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।’
