চকরিয়ার ১৪৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রূপ পাচ্ছে ‘স্বপ্নের বাতিঘর’ হিসেবে

একযোগে দেওয়া হলো দেড় লাখ শিশুতোষ গল্পের বই

চকরিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ১৩ অক্টোবর, ২০২১ at ৬:১৯ পূর্বাহ্ণ

‘একটি বিদ্যালয় একটি স্বপ্নের বাতিঘর’ হিসেবে বাস্তবে রূপ পাচ্ছে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ইতোমধ্যে এসব বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্বলিত চিত্র প্রদশর্নী, শহীদ মিনার, ফুলের বাগান, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, লাইব্রেরি স্থাপনসহ নানা কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়েছে। সর্বশেষ প্রতিটি বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির জন্য ১১০০ পিচ করে উন্নতমানের লেমিনেটেড প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিশুতোষ গল্পের বই বিতরণ কার্যক্রমও সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে প্রতিটি বিদ্যালয়ের একেকটি আদর্শ বিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠছে। অচিরেই ‘একটি বিদ্যালয় একটি স্বপ্নের বাতিঘর’ এর সেই শ্লোগানের পূর্ণতা পাওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
এমনটিই জানিয়েছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন) সৈয়দ শামসুল তাবরীজ। তিনি গত সোমবার একযোগে উপজেলার ১৪৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরির জন্য দেড় লক্ষাধিক শিশুতোষ গল্পের বই বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই তথ্য তুলে ধরেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বই বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেসমিন হক জেসি চৌধুরী। বক্তব্য দেন রুম টু রিড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপক মনজুর-ই-এলাহী, উপজেলা সহকারি শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবু জাফর, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, পালাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হুরে জন্নাত, উত্তর বরইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাদাত হোছাইন। অনুষ্ঠান শেষে ১৪৪টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য ১১০০ পিস করে বই তুলে দেওয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও সৈয়দ শামসুল তাবরীজ আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যেই আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তি জ্ঞান নির্ভর প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। উন্নত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে উপজেলা প্রশাসন প্রাথমিক শিক্ষার মান অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে প্রতিটি বিদ্যালয়কে ‘একটি বিদ্যালয় একটি স্বপ্নের বাতিঘর’ হিসেবে রূপ দিতে প্রায় একবছর ধরে কার্যক্রম শুরু করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফসলি জমিতে শিল্প-কারখানা বা বাড়ি আর নয়
পরবর্তী নিবন্ধহেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন মেলেনি