ঘোরাফেরা-আড্ডায় জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা

আজাদী প্রতিবেদন

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না | শুক্রবার , ২ এপ্রিল, ২০২১ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

নভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা ও আড্ডা নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ১০ টার পর বাইরে বের হওয়া যাবে না। কোনো প্রয়োজনে বের হতে হলে মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। পর্যটন, বিনোদনকেন্দ্র, সিনেমা হল, থিয়েটার হল, মেলা আয়োজন আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সকল ধরনের জনসমাগম (সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণযুক্ত এলাকায় সকল ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ করতে হবে। বিয়ে জন্মদিনসহ যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে। গণপরিবহন, মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়, ওষুধের দোকানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। গণপরিবহনে ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের ১৪ দিন পর্যন্ত প্রাতিষ্ঠানিক (হোটেল নিজ খরচ) কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। সংক্রমনের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাতে আন্তঃজেলা যানচলাচল সীমিত করতে হবে। প্রয়োজনে তা বন্ধ করতে হবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখতে হবে। করোনা আক্রান্ত ও করোনা লক্ষণযুক্ত ব্যক্তির আইসোলেশন নিশ্চিত করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা অন্যদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল সরকারি ও বেসরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান, শিল্প কারখানা ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী, অসুস্থ, বয়স ৫৫ উর্ধ্ব কর্মকর্তা কর্মচারীদের বাড়িতে অবস্থান করে কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সভা, সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা যথাসম্ভব অনলাইনে আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সশরীরে উপস্থিত হতে হয় এমন কোনো ধরণের গণপরীক্ষার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে গণবিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী খোলা থাকছে জেলা মহানগরের শপিং মল ও হোটেল রেস্তোরাঁগুলো। শপিং মল বিষয়ে বলা হয়েছে, ক্রেতা বিক্রেতা উভয়কে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হবে। আর হোটেল রেস্তোরাঁ বিষয়ে বলা হয়েছে, হোটেল রেস্তোরাঁ ধারণ ক্ষমতার ৫০ ভাগের অধিক মানুষের জনসমাগমের আয়োজন করতে পারবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সৃষ্টি করতে হবে সহায়ক পরিবেশ
পরবর্তী নিবন্ধজুম্’আর খুতবা