চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগস্ট বাংলার মানুষের জীবনে সর্বাপেক্ষা বিষাদ ও বিপর্যয়ের দিন। জনগণের প্রতি প্রচণ্ড ভালবাসা, আস্থা ও বিশ্বাস ছিল বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির মূলভিত্তি। বিশ্ব মানব সভ্যতার ইতিহাসে ঘৃণ্য ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ঘাতকচক্র সেদিন কেবল বঙ্গবন্ধুকেই নয় তার সঙ্গে বাঙ্গালির হাজার বছরের প্রত্যাশার অর্জন স্বাধীনতার আদর্শগুলোকেও হত্যা করতে চেয়েছিল। ঘাতকদের উদ্দেশ্য ছিল অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোকে ভেঙে আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করা।
গতকাল বিকেলে থিয়েটার ইনস্টিটিউটে আমরা চট্টগ্রামের উদ্যোগে আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সাদেক হোসেন চৌধুরী পাপ্পুর সভাপতিত্বে সভায় মেয়র আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতিকে শুধু রাজনৈতিক মুক্তি ও স্বাধিকার দেননি। তিনি বাঙ্গালি জাতিকে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তিনি শুধু স্বপ্ন দেখিয়ে ক্ষান্ত হননি, দেশ পুনর্গঠনের একেবারে শুরুতেই সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে নকশা অঙ্কন করেছিলেন এবং তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছিলেন। তখনই স্বাধীনতা বিরোধী-যুদ্ধাপরাধী ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করে।
তিনি আরো বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের উচিত ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে আগামী প্রজন্মকে জানানো। পলাশীর খলনায়কদের নাম যেমন মানুষের মুখে মুখে ফিরে তেমনি খন্দকার মুশতাক, জিয়া থেকে শুরু করে অন্ধকারের সকল খলনায়কদের নাম প্রকাশ করতে হবে। এসব কাপুরুষদের কৃতকার্যের সঠিক ইতিহাস যদি আমরা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি তবেই হবে বাঙ্গালি জাতির কলঙ্ক মোচন।
জসিম উদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দেবদুলাল ভৌমিক, সংগঠনের উপদেষ্টা কে বি এম শাহজাহান, দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ, মনোয়ার হোসেন, সুমন বডুয়া, পংক্কজ রায় প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।