গ্রেপ্তার তিনজন ৮ দিনের রিমান্ডে

| শনিবার , ২৫ মে, ২০২৪ at ৭:১৫ পূর্বাহ্ণ

ঝিনাইদহ৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তার আমানুল্লা সাঈদ ওরফে শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া (৫৬), তানভীর ভুঁইয়া (৩০) ও শিলাস্তি রহমানকে (২২) গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। সেই সঙ্গে ডিবি পুলিশের পক্ষ থেকে দশ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়।

রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয় মহানগর হাকিম দিলরুবা আফরোজ তিথির আদালতে। শুনানি শেষে তিনি তিন আসামির প্রত্যেককে আট দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন বলে আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন জানান। খবর বিডিনিউজের।

কোনো আইনজীবী আসামিদের পক্ষে রিমান্ড শুনানিতে দাঁড়াননি। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, ঘটনা নৃশংস। এভাবে কাউকে হত্যা করা যায় ভাবলে গা শিউরে ওঠে। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অবশ্যই এ মামলায় রিমান্ড পাওয়া উচিত।

কাঠগড়ায় দাঁড়ানো তিন আসামির মধ্যে শিলাস্তি রহমান এ সময় কথা বলেন। তিনি দাবি করেন, এসব ঘটনার কিছুই তিনি জানেন না। ১০ মিনিটের শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আসামিদের ডিবি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ঝিনাইদহ৪ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য আনার কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত ১১ মে তিনি চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। প্রথমে কলকাতার বরাহনগরে তার বন্ধু স্বর্ণ ব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে উঠেন। কিন্তু সেখান থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হন।

এরপর স্থানীয় থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। তদন্ত শুরু হয় দুই দেশে। বুধবার সকালে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর আসে, নিউ টাউনের এক বাড়িতে খুন হয়েছেন এমপি আনার।

আনারের মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে তার বাবাকে ‘হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণের’ অভিযোগ আনা হয়। তবে আসামি হিসেবে সেখানে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। গ্রেপ্তার তিনজনকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েই রিমান্ডে নিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আনার হত্যার হোতা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আখতারুজ্জামান ওরফে শাহিন মিয়া। আর হত্যাকাণ্ডটি বাস্তবায়ন করেছেন চরমপন্থি নেতা আমানুল্লা ওরফে শিমুল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচারদিকে প্রতারণার ফাঁদ
পরবর্তী নিবন্ধহত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা