নগরীর বহদ্দারহাটে একটি কাঠের গুদাম থেকে ৬০০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়েছে। এসব চিনি ভারত থেকে আনা হয়েছিল। কিন্তু মজুদদারের কাছে এসব চিনি ক্রয়ের বৈধ কাগজপত্র নেই। এ ঘটনায় গুদামের মালিক মো. আ. রব্বানকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় একটি মামলা হয়েছে। রব্বান রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়ার কচুখাইন এলাকার মৃত ফজল আহম্মেদের ছেলে।
গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের একটি টিম বহদ্দারহাটের এক কিলোমিটার এলাকার নাফিজ গলির উক্ত কাঠের গুদামে (ফার্নিচারের কারখানা) বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। খবর ছিল, গুদামটিতে গোপনে বিপুল পরিমাণ চিনি মজুদ করা হয়েছে। ফ্রেশ ব্যান্ডের বস্তায় সেগুলো ভরা হয়েছে। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী। তিনি আজাদীকে বলেন, গোপনে বিপুল পরিমাণ চিনি মজুদ করা হয়েছে–এমনটা জানতে পেরে এক কিলোমিটার এলাকার একটি কাঠের গোডাউনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় অবৈধভাবে মজুদকৃত প্রায় ৬০০ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করা হয়েছে। মজুদ এসব চিনি ভারতীয় চিনি বলে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, কারখানার মালিক চিনি ক্রয়ের কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। আমরা দেখেছি, মজুদকৃত চিনি ফ্রেশ ব্র্যান্ডের বস্তায় ভরা হয়েছে। অভিযানের এক পর্যায়ে আমরা গোডাউনের মালিককে আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাববর প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ নিষ্পত্তি পর্যন্ত জব্দকৃত চিনির নিরাপত্তা বিধানের জন্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, অভিযানে সহযোগিতা করেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহ মো. মোর্শেদ কাদের ও চান্দগাঁও থানার এসআই রিয়াদ উছ সালেহীনের নেতৃত্বে একটি দল।
