গাজা যুদ্ধে অনাহারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে : ইইউ

৫ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষ থেকে এক পা দূরে

| বৃহস্পতিবার , ১৪ মার্চ, ২০২৪ at ১০:০১ পূর্বাহ্ণ

ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজায় অনাহারকে যুদ্ধের একটি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতি প্রধান জোসেফ বোরেল। ভূখণ্ডটিতে ত্রাণ প্রবেশের অপ্রতুলতাকে মানবসৃষ্ট বিপর্যয় বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের অবিরাম হামলায় গাজা প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। নিহত হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি মানুষ। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দারা প্রায় সবাই ইতোমধ্যে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়েছে। খবর বিডিনিউজের।

ইসরায়েলের কঠোর অবরোধ ও বাধার কারণে গাজায় প্রয়োজনীয় ত্রাণ প্রবেশ করতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে গাজার বাসিন্দারা দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে। অনাহারে, অপুষ্টি ও পানিশূন্যতায় অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। বিবিসি জানিয়েছে, অতি প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ নিয়ে সাইপ্রাস থেকে একটি স্পেনীয় জাহাজ রওনা হয়েছে। কিন্তু জাতিসংঘ বলছে, স্থল পথে ত্রাণ সরবরাহের চাহিদা এ দিয়ে পূরণ হবে না। গাজায় দ্রুততার সঙ্গে, সবচেয়ে কার্যকরভাবে ত্রাণ পাঠানো যায় সড়ক পথে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলের বাধার কারণে প্রয়োজনের তুলনায় খুব অল্প পরিমাণ ত্রাণ সেখানে প্রবেশ করতে পারছে। এর মধ্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফা শহরসহ গাজার দক্ষিণাংশে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় জানিয়েছেন। গাজার অর্ধেকেরও বেশি বাসিন্দা দক্ষিণাংশের শহর রাফায় আশ্রয় নিয়ে আছে। ইসরায়েলের বাধার কারণে স্থলপথে গাজায় ত্রাণ পাঠাতে না পেরে বিমান থেকে খাদ্য ত্রাণ ফেলা ও সমুদ্র পথের মতো বিকল্প বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে ত্রাণ সরবরাহকারীরা। এর মধ্যে গাজায় বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ প্যাকেজের আঘাতে বেশ কিছু ফিলিস্তিনির মৃত্যুও হয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় দুটি ক্রসিং দিয়ে ত্রাণ প্রবেশ অনুমোদন করছে তারা। তাই ভূখণ্ডটির খাদ্যের সংকটের জন্য তাদের দায়ী করা যাবে না। কিন্তু মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে দেওয়া ভাষণে বোরেল বলেছেন, গাজায় যে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে তার কারণ কার্যকর স্থল পথের অভাব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১১.৭২ কোটি টাকা
পরবর্তী নিবন্ধমালয়েশিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ তিনজন নিহত