গণপরিবহন কবে গণমানুষের হবে

৫০বছরের বাংলাদেশ

কুমার প্রীতীশ বল | বুধবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২১ at ৬:২৩ পূর্বাহ্ণ

৫০বছর হয়ে গেল বাংলাদেশের বয়স। বিগত ৫০ বছরে আমাদের রাস্তা-ঘাটের অনেক উন্নয়ন ঘটেছে। আমাদেও যমুনা সেতু বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতু। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরি করেছি। মেট্রোরেল এখন আর আমাদের জন্য স্বপ্ন নয়। সড়কে কোটি টাকার গাড়ির অভাব নেই। গণপরিবহন হিসাবে এসি বাস ছুটছে দেশের প্রত্যন্ত প্রান্তে। পরিবহন খাতে এখন হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হচ্ছে। এ সবই আমাদের গত ৫০ বছরের অর্জন। চোখে পড়ার মতো এতোসব পরিবর্তন ঘটেছে বিশেষ করে গত একদশকে। এখন প্রত্যন্ত গ্রামীণ জনপদেও শৈশবের সেই ধুলি উড়া মেঠোপথ চোখে পড়ে না। কিন্তু যা ঘটেনি, তাহলো পরিবহন খাতে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন।
বড়ই অদ্ভুদ ঠেকছে সে দেশে গণপরিবহন গণমানুষের জন্য কল্যাণকর হলো না। গণপরিবহন গণমানুষের জন্য আজও নিরাপদ না। আমাদের দেশে নারীরা নানাভাবে গণপরিবহনে অসম্মানিত হয়। ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটে চলেছে এই গণপরিবহনে। দেশের রাস্তাঘাট, গণপরিবহন, বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন জনসমাগমস্থলে ৮১ দশমিক ৬ শতাংশ নারী যৌন হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হন। এসব ঘটনায় মামলা হচ্ছে ৩ শতাংশের কম (২.৯%)। একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
সাম্প্রতিককালের হাফ পাশের আন্দোলনের সময়ে পরিবহন জগতের আরও তিনটি ঘটনা মনে দাগ কেটে গেল।-ঢাকার বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের একদল শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছে, ওই কলেজের এক শিক্ষার্থী বাসে অর্ধেক ভাড়া দিতে চাইলে ওই বাসের একজন হেল্পার তাকে ধর্ষণের হুমকি দেয়। খবরটা প্রকাশ হতো না, যদি না বদরুন্নেসার শিক্ষার্থীরা সাহস করে প্লেকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বকশিবাজারে সড়ক অবরোধ না করত। গণপরিবহনের এমন স্বেচ্ছাচারিতার আরও দুটি খবর গণমাধ্যমে এসেছে। গত ৯ নভেম্বর প্রগতি সরণিতে একজন শিশুকে চলন্ত গণপরিবহন থেকে ফেলে দিয়েছে গাড়ির হেল্পার। গুলিস্থানে নটরডেমের এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলেছে কোনো এক পরিবহন। এর কদিন পরে ঢাকার মগবাজারে একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে এক বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলে আরেক বাস এসে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলে সে মৃত্যুবরণ করে। সড়ক দুঘর্টনায় সাংবাদিক মিশুক মুনীর আর নন্দিত চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদের অকাল প্রয়াণের কথা ভুলি কি করে! ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট, মানিকগঞ্জে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। গুরুতর আহত হন শিল্পী অধ্যাপক ঢালী আল-মামুনসহ অনেকে।
পত্রিকান্তরে প্রকাশ, গত নয় বছরে প্রায় ২৯ হাজার সড়ক দুর্ঘটনায় হয়, মৃত্যুবরণ করে প্রায় ৫০ হাজার লোক। ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়েই সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার জনের। নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান, ২০১৯ সালে প্রায় ৪ হাজার ৭০২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ হাজার ২২৭ জন। আহত ৬ হাজার ৯৫৩ জন। সবচেয়ে বেশি ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে রাজধানী ঢাকায়। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বাড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে রেলপথে ১৬২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১৯৮ জন, আহত ৩৪৭ জন। নৌপথে ৩০টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬৪ জন এবং আহত হয়েছে ১৫৭ জন আর নিখোঁজ ১১০ জন। ২০১৯ সালে দেশের সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা আগের দুই বছরের তুলনায় অনেক বাড়ে। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনা ১ হাজার ৫৯৯টি বেশি হয়। ২০১৮ সালে ৩ হাজার ১০৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৩৯ জন নিহত ও ৭ হাজার ৪২৫ জন আহত হয়। ২০১৭ সালে ৩ হাজার ৩৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ হাজার ৬৪৫ জন নিহত ও ৭ হাজার ৯০৮ জন আহত হয়। গণপরিবহন একটি সেবামূলক কাজ বা দায়িত্ব। কিন্তু গণপরিবহন কতটুকু সেবামূলক মানসিকতা প্রদর্শন করছে তা উল্লেখিত পরিসংখ্যান থেকে বুঝা যায়।
সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ আইন অমান্যতা। এই আইন অমান্যতার মধ্যে আছে ট্রাফিক আইন অমান্য, ফিটনেস বিহীন গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝায়, দক্ষ ড্রাইভারের অপ্রতুলতা ইত্যাদি। এসব অপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার পরও পার পেয়ে যেতে দেখা যায়। এসব অভিযোগ নেতারা মানতেই নারাজ। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে গত ৫০ বছরে খুব বেশি খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ গণপরিবহনের মালিক-শ্রমিক নেতারা খুবই প্রভাবশালী।
এই প্রভাবশালী নেতারা যা বলেন, তাই আইন হয়ে যায়। বর্তমানে নানান তালবাহানার পর গণপরিবহনে ‘শর্তসাপেক্ষে’ হাফ পাশ মেনে নিয়েছে। শর্তের মধ্যে আছে, হাফ পাশ পাবে মহানগরের ছাত্রসমাজ একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। কি অদ্ভুদ নিয়ম, শহরের শিক্ষার্থীরা ছাত্র আর সারা দেশের শিক্ষার্থীরা ছাত্র নয়। আমাদের সন্তানেরা, আমাদের অনুজরা সারা দেশে গণপরিবহনে হাফ পাশের জন্য আন্দোলন করেছে। এই আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিত। এর জন্য আন্দোলন করতে হবে কেন? হাফ পাশের সুবিধা ছাত্রজীবনে আমরা ভোগ করেছি। এখনকার শিক্ষার্থীরা পাবে না কেন? এই কয়দিন আগেও হাফ পাশ ছিল। তাহলে নতুন করে ভাড়া নির্ধারণের পর কেন উঠে গেল? একটি টেলিভিশনের টক শোতে দেখলাম, একজন গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হাফ পাশের বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করছেন।
হাফ পাশের প্রচলন হঠাৎ এদেশে এসেছে এমন নয়। এদেশে যুগ যুগ ধরে হাফ পাশ ছিল। এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। দীর্ঘদিন জাপানে কাটিয়ে এসেছেন, এমন একজনের মুখে শুনলাম, কোনো শিক্ষার্থী রাস্তার পাশে গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকলে প্রাইভেট গাড়ির আরোহীরা নিজে থেকেই ঐ শিক্ষার্থীকে ডেকে গাড়িতে উঠিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। জাপানীরা তাদের দেশের শিক্ষার্থীদের সম্মান জানাতে এ কাজটি করে। এটিতে তারা একটি সামাজিক দায়িত্ব মনে করে। আমাদের দেশে গণপরিবহন অতীতে এই সামজিক দায়িত্ব পালন করলেও বর্তমানে তা থেকে সরে আসছে। এটা কি আরেকবার সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য? এমনিতেই সরকার তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করে সমালোচনার মুখে আছেন। তখনও দেখেছি, গণপরিবহন কর্তৃপক্ষ গাড়ি চালনা বন্ধ করে জনগণকে জিম্মি করে সরকারকে ভাড়া বৃদ্ধি করতে বাধ্য করেছে। নতুন করে ভাড়া বৃদ্ধির পর গেইট লক এবং সিটিং সার্ভিসের নামে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের কৌশলটি সরকার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এই বিধি নিষেধটি তাঁরা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। একারণেই তাঁরা নানাবিধ শর্ত জুড়ে দিয়ে ‘হাফ পাশ’-কে বিতর্কিত করছেন। ভর্তুকিও নাকি দাবি করছেন। গণপরিবহন থেকে ছাত্রসমাজের হাফ পাশ তুলে দিয়ে একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলে আরও কিছু অন্যায্য দাবি আদায় করার চেষ্টা করছে।
বিশ্বব্যাপী গণপরিবহনে ছাত্রসমাজের হাফ পাশকে শিক্ষার প্রতি সমাজ এবং রাষ্ট্রের সম্মান প্রদর্শন হিসাবে দেখা হয়। আমাদের দেশেও তাই দেখতে হবে। হাফ পাশকে ছাত্র সমাজের প্রতি করুণা হিসাবে বিবেচনা করার অবকাশ নেই। এটাকে ছাত্র সমাজের অধিকার হিসাবে দেখতে হবে। ছাত্র সমাজ সেই অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলন করছে। এই আন্দোলন শতভাগ যৌক্তিক বলেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এই আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন প্রদান করেছে। কোনো ধনীর দুলালও যদি শেরাটন থেকে কফি খেয়ে গণপরিবহনে উঠে ছাত্র হিসাবে হাফ ভাড়া দিতে চাইলে তাও নিতে হবে। কল্যাণকামী রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য এমনটিই হতে হয়। এই হাফ পাশে ধনী-গরিবের কোনো পার্থক্য নিরূপন করা সমীচীন হবে না। একজন শিক্ষক কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পাঠদানে যেমন ধনী-গরিবের ব্যবধান করে না বা করতে পারে না, গণপরিবহনের বেলায়ও একই নীতি প্রযোজ্য মনে করি।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির কথা হরহামেশা যে শুনে আসছি, তা গণপরিবহনের ক্ষেত্রে পুরোমাত্রায় সঠিক। মিডিয়ার ক্রমাগত চাপের পরও মিশুক মুনীর এবং তারেক মাসুদের মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনার বিচার সম্পন্ন হতে দশ বছর কেটে গেছে। গণপরিবহনের কাছে গণমানুষ একেবারে অসহায়। অকারণে ধর্মঘটের মারণাস্রটি কখন কোথায় মেরে বসে, তারা বোধকরি নিজেরাও জানে না। গণপরিবহনের ধর্মঘটের কারণে গণমানুষের অসহায়ত্বেও শেষ নেই। কথায় কথায় জনগণকে জিম্মি করে ওরা সরকারের কাছ থেকে দাবি আদায় করে।
সড়ক পরিবহন আইনে আছে, ভাড়া নির্ধারণ করবেন সরকার। অথচ এখানে সিদ্ধান্ত দিচ্ছে পরিবহন নেতারা। জ্বালানি তেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ার পর জনগণকে পরিবহন ধর্মঘটের মাধ্যমে সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে ২৭ শতাংশ (মতান্তরে ৫০ ভাগ) ভাড়া বৃদ্ধি করে নিয়েছে। এসময় তারা একবারের জন্যও গণমানুষের কথা বিচেনায় নেয়নি। পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি কোনো হিসাবেই গ্রহণযোগ্য না হলেও গণপরিবহন মালিকদের তাতেও সন্তুষ্টি করতে পারেনি। তাই তারা নানাভাবে সরকারকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে। চাকরির পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষার সময়ে বিনানোটিশে পরিবহন বন্ধ রেখে জনগণকে দুর্ভোগের মুখে ফেলে সরকারকে বিব্রত করছে। ভুক্তভোগীরা এসব কিছুর জন্য সরকারকেই দায়ী করছে।
এখানে ভুলে গেলে চলবে না, পরিবহন খাতের অনিয়ন্ত্রিত চাঁদাবাজির কথা। নানা প্রকারের চাঁদা পরিবহনসমূহকে পরিশোধ করতে হয় রাস্তায় নামলেই। এই অনিয়ন্ত্রিত চাঁদাবাজি পারিবহন খাতের বিশৃঙ্খলতার একটি বড় কারণ। তারা অনেক সময় মনে করে থাকে, চাঁদা কিংবা ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে যতসব অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করে ফেলতে পারবে। হয় না যে এমন নয়, হয়ও। কিন্তু এসবের রেশ টানতে হয় জনগণকে। গত ৫০ বছরে এ দেশে গণপরিবহনকে গণতান্ত্রিক আচরণ করতে কখনও দেখা যায়নি।
গণপরিবহন একটি সেবাখাত। সে বিবেচনায় গণপরিবহন হওয়ার কথা গণমানুষের বন্ধু। বাংলাদেশে গত ৫০ বছরে এর বিপরীত চিত্রই দেখা গেছে। যারা প্রতিনিয়ত গণপরিবহন ব্যবহার করেন, তারা এর চরমতম ভুক্তভোগী। বিগত ৫০ বছরে গণপরিবহন কোনো কিছুকেই তোয়াক্কা করে নাই। সরকারের নানা রকমের আইনও তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। ধর্মঘট নামের মারণাস্ত্রটি যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের থাকবে, সে পর্যন্ত তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না।
বিগত ৫০ বছরে পরিবহন সেক্টরের মানবিক আচরণ মানুষ দেখেনি। তাহলে রাষ্ট্র কি করে মানবিক হবে? রাষ্ট্রকে মানবিক হতে হলে গণপরিবহনের মতো সেবাখাতসমূহকে দুর্নীতিমুক্ত, পেশীশক্তি মুক্ত হতে হবে। পরিবহন খাতে পেশীশক্তির প্রভাব, প্রতিপত্তি এটাকে মানবিক আচরণ করতে দেবে না। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি, শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাশ, সিনিয়র সিটিজেনের জন্য সিট বরাদ্দ ইত্যাদি যে কল্যাণমূলক রাষ্ট্রের বৈশিষ্ট্য, তা পেশীশক্তি নির্ভর গণপরিবহনের পরিচালকদের বোধের মধ্যে আসছে না। এথেকে গণপরিবহনকে বের করে আনতে হলে ভিন্নভাবে ভাবতে হবে। তাদের জন্য সফটস্কিল প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। মানবিকতা, মূল্যবোধ এবং নৈতিকতার চর্চায় অভ্যস্থ করে তুলতে হবে মালিক শ্রমিক উভয়কেই। নৈরাজ্য নিরসনে গণশুনানি বা জনগণের মতামতের কথা কখনও কারো ভাবনায়ও আসে না। রাষ্ট্রকে মানবিক হতে হলে এসবকে বিবেচনায় নিতে হবে।
লেখক : প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক, নাট্যকার

পূর্ববর্তী নিবন্ধশিক্ষার মৌলিক অধিকার সকল শিশুর জন্য নিশ্চিত করা হোক
পরবর্তী নিবন্ধদূরের টানে বাহির পানে