গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যই নতুন ভিসানীতি : পিটার হাস

আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাপার সঙ্গে বৈঠক

| শুক্রবার , ২৬ মে, ২০২৩ at ৫:০৪ পূর্বাহ্ণ

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সব সময়েই গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি। গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ দিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

বৈঠকের পর পিটার হাস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র গতকাল যে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা দিয়েছে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এটা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং যারা এই সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। যুক্তরাষ্ট্র সব সময়েই গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে। খবর বিডিনিউজের।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে বুধবার নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ভিসানীতির আওতায় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িতদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করবে দেশটি। নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। গতকাল দুপুরে গুলশানে রাষ্ট্রদূতের বাসায় এই বৈঠক হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের পক্ষ থেকে এক টুইটে জানান হয়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং জাতীয় পার্টির পক্ষে দলের মহাসচিব মজিবুল হক চুন্নু এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল বৈঠকে ছিলেন।

দূতাবাসের টুইটে বলা হয়, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করে এমন ব্যক্তিদের ভিসা সীমিত করার এই নতুন ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য। বৈঠকে রাষ্ট্রদূত দেশের তিন প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ঘোষিত ভিসা নীতি কারণ ও প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

বৈঠকের আলোচনা নিয়ে সেলিম মাহমুদ বলেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে নীতিমালা দিয়েছে, তাতে আমাদের কোনো অসুবিধা হবে না। ভিসা রেস্ট্রিকশনে আমাদের কোনো অসুবিধা নাই। কারণ, আমরাই বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সুসংহত করেছি, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করেছি। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার করে আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতায়ন করেছেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। বৈঠকে পিটার হাসকে কী বলেছেন, এই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আমি দলের পক্ষ থেকে একটা মতামত দিয়েছি, সেটা আপনাকে বলছি।

সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নেতা মজিবুল হক চুন্নু সাংবাদিকদের বলেন, মার্কিন সরকার বাংলাদেশের যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে, সে বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত জানতে চেয়েছে। প্রতিটি দলই তাদের মতামত দিয়েছে। আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটা ফেয়ার ইলেকশন চায়। নির্বাচনটা যেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়। এ ব্যাপারে আমাদের দলও একমত। আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমার্কিন ভিসানীতি সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক হবে : খসরু
পরবর্তী নিবন্ধযুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি চাপ হিসেবে দেখছে না সরকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী