গণতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখা সকল দলের সম্মিলিত দায়িত্ব : তথ্যমন্ত্রী

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নেয় না : রাষ্ট্রদূত

আজাদী ডেস্ক | বৃহস্পতিবার , ১১ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৫৯ পূর্বাহ্ণ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, অব্যাহতভাবে নির্বাচনকে বর্জন ও প্রতিরোধের সংস্কৃতি লালন করলে গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ে।
তিনি বলেন, দেশে গণতান্ত্রিক সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা কিংবা গণতন্ত্রকে সংহত করা কোনো একক রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নয়। সমস্ত রাজনৈতিক দলের সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখা। গতকাল সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএসএইড এবং বেসরকারি আন্তর্জাতিক সংস্থা ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত রাজনৈতিক ই-প্রশিক্ষণ প্লাটফর্ম (ঢ়ড়ষরঃরপংসধঃঃবৎং.পড়স.নফ) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের চিফ অভ পার্টি ডানা এল. ওল্ডসের সভাপতিত্বে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী এমপি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের গত ৫০-৫১ বছরের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা তখনই হুমকির মুখে পড়েছে যখন অস্ত্র উঁচিয়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা হয়েছে এবং সেই ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে। দেশের কল্যাণে রাজনীতিসহ সকল অঙ্গনে সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, সাংঘর্ষিক রাজনীতি এবং সবকিছুতে না বলার যে রাজনীতি-সংস্কৃতি আমাদের রাজনীতিতে তিক্ততা বাড়িয়েছে, এটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলে পরিবেশ সৌহার্দপূর্ণ হবে। সুতরাং আমি আশা করবো যে, আগামী নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে এবং একটি অবাধ সুষ্ঠ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আগামী সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তার অবস্থান পরিষ্কার করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে অন্য কোনো দলের ওপর সমর্থন করে না। তিনি বলেন, স্পষ্ট করে বলতে গেলে, বলতেই হয়- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষগিরি করে না। স্বতন্ত্র দলের সদস্যদের সাথে বৈঠকের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বৈঠকগুলো তিনি বিশেষভাবে উপভোগ করেছেন, যেখানে একাধিক দল তাদের নীতিগত ভিন্নতা থাকা সত্ত্বেও একত্রিত হয়। হ্যাস বলেন, মার্কিন অভিজ্ঞতা অনুসারে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করা একটি জটিল কাজ, যেখানে সমাজের প্রতিটি অংশের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন ‘বিষাক্ত’ হয়ে উঠেছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রথমেই সব দলের জন্য ‘সমানভাবে’ রাজনীতি করার সুযোগ দিতে হবে। সংবিধান সংশোধন করে, আরপিও সংশোধন করে দেশে মেশিনারি ব্যবহার করে ক্ষমতায় থাকার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, এখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে এই বিএনপি নেতা বলেন, দেশে গণতন্ত্র যদি ফিরে না আসে, জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে না পায়, ভোটাধিকারের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করতে না পারে, সেই প্রতিনিধি জনগণের কাছে জবাবদিহি না করে, তাহলে এই সমস্ত কার্যক্রম কোনো কাজে আসবে না। দুই-একটি গোষ্ঠী জোর করে ক্ষমতা দখল করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্কুলের গেট ভেঙে মায়ের সামনেই শিশুটির মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধমধ্যরাতে সন্ত্রাসীর গুলিতে দুই রোহিঙ্গা মাঝি নিহত