খেলার মাঠ নাকি জলাশয়!

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ৩১ মে, ২০২৩ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

গ্রামের মজা পুকুরের মতো কচুরিপানায় ভরে আছে শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলার মাঠ বাকলিয়া সরকারি স্কুলের মাঠ। মশামাছির প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হওয়া মাঠে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে খেলাধুলাসহ সব ধরণের সাংস্কৃতিক কার্যক্রম। খেলার মাঠটি পুরোপুরি জলাশয়ের আকার নিয়েছে। মাঠের পাশে তিনটি ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও কোনো শিক্ষার্থীরই সুযোগ নেই মাঠে নামা। শুধু কী মাঠ, স্কুলের মেইন গেটেই পানি এবং কচুরি পানা ভরে রয়েছে। ভবনের নিচতলায়ও দূষিত পানি, কচুরিপানা এবং ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। পানি এবং পানা পঁচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্কুলের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী।

সূত্র জানিয়েছে, শহরের অন্যতম প্রাচীন বিদ্যাপীঠ বাকলিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল স্বাধীনতার আগে, ১৯৬৭ সালে। অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা পশ্চিম বাকলিয়ার এই বিদ্যাপীঠে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। অর্ধশতাধিক শিক্ষকশিক্ষিকা এদের পাঠদান করেন। কিন্তু প্রতিদিনই এই বিপুল সংখ্যক মানুষকে নানা দুর্ভোগ সয়ে লেখাপড়া করতে এবং করাতে হচ্ছে।

বাকলিয়া সরকারি স্কুলের প্রায় এক একর আয়তনের মাঠটি শুধু স্কুলের শিক্ষার্থীরাই নয়, প্রতিদিন বিকেলে স্থানীয় শিশুকিশোর এবং যুবকেরাও নানা ধরণের খেলাধুলা ও শারীরিক কসরত করতো। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন ধরণের সাংস্কৃতিক কার্যক্রমেরও আয়োজন হতো এই মাঠে। কিন্তু গত ৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাঠের বেহাল দশা বিরাজ করছে। প্রায় পুরো বছরই মাঠ জুড়ে থাকে পানি। বর্ষাকালই শুধু নয়, শুষ্ক মৌসুমেও মাঠে পানি ও কচুরিপানার জয়জয়কার চলে। বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র জানিয়েছেন, তারা কখনো খেলাধুলা করতে পারে না। সবসময় মাঠে পানি এবং ময়লা আবর্জনার ভাগাড় হয়ে থাকে। বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার বা উন্নয়নের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষের কোন খেয়াল নেই বলেও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, চাক্তাই খালের কারণে কয়েকবছর আগ থেকে এখানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। এতে স্কুলের স্বাভাবিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে বলেও তিনি জানান। বিশেষ কোন প্রকল্প গ্রহণ না করা পর্যন্ত এই মাঠের উন্নয়ন স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহিজড়াসহ গ্রেপ্তার ৫ চার পথশিশু উদ্ধার
পরবর্তী নিবন্ধঅবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে থাকাদের ভিসানীতি নিয়ে ভয়ের কিছু নেই : পিটার হাস