আনোয়ারায় ৫০তম জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবল খেলার সেমিফাইনালে হেরে মঞ্চের চেয়ার ভাঙচুর করেছে চাতরী ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিকেলে আনোয়ারা মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর খেলার অব্যবস্থাপনা নিয়ে শিক্ষক অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ৫০তম জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার দ্বিতীয় সেমি ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি হয় মেরিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও চাতরী ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। খেলা শুরুর আগে মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজ একাদশের অভিযোগের কারণে চাতরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় একাদশের এক খেলোয়াড় বাদ পড়ে খেলতে পারেনি। এ নিয়ে চাতরী স্কুল একাদশের খেলোয়ারদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খেলায় চাতরী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় একাদশ ১–০ গোলে হেরে যায়। খেলা শেষে মেরিন একাডেমির খেলোয়াড়রা বিজয় উদযাপন করার সময় হঠাৎ চাতরী স্কুলের খেলোয়াড়রা ক্ষিপ্ত হয়ে খেলার অতিথিদের মঞ্চ ভাংচুর করে।
মেরিন একাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষক জানান, খেলার শুরুতে চাতরী স্কুলের দুজন খেলোয়াড় নিয়ে আমরা আপত্তি করি। আপত্তির ভিত্তিতে তাদের একজনকে খেলা থেকে বাদ দেওয়া হয়। যথা নিয়মে খেলা হয় আর আমরা এতে জয় লাভ করি। চাতরির খেলোয়ারদের অশ্লীল ভাষা আর ভাংচুর দেখে সবাই হতবাক হয়েছে।
এ বিষয়ে আনোয়ারা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফেরদৌস হোসেন জানান, খেলার শুরুতে বয়স বেশি হওয়ার কারণে চাতরীর এক খেলোয়াড়কে বাদ দেওয়া হয়। খেলা নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়। মেরিন একাডেমি ১–০ তে জয় লাভ করে। কিন্তু খেলা শেষে চাতরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আচমকা মঞ্চে হামলা করে চেয়ার ভাংচুর আর অশ্লীল বাক্য ব্যবহার করে। এটি আমাদের কারো কাম্য হতে পারে না। এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়কে সব কিছু অবহিত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।