খালেদা জিয়া কী করবেন, এখতিয়ার আদালতের : কাদের

| শনিবার , ১১ মার্চ, ২০২৩ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্ত থাকা অবস্থায় রাজনীতি বা নির্বাচন করতেন পারবেন কিনা, তা আদালতের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) এখন যেখানে আছেন, সেটাই হচ্ছে আদালতের এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার উদারতা, মানবিকতার কারণে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছেন। এর অর্থ এই নয় যে তার সাজা বাতিল হয়ে গেছে। এটা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী ক্ষমতা বলে তার মহানুভবতা। শারীরিক কারণে, মানবিক কারণে তার সাজা স্থগিত রাখা হয়েছে। এখন তিনি ইলেকশন করবেন কী রাজনীতি করবেন, সেটা এখনো আদালতের জাজমেন্টের ওপর নির্ভর করে। খবর বিডিনিউজের।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসিন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সুবর্ণজয়ন্তী ও প্রথম পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সে সময়ই বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনীতি ও নির্বাচন করা নিয়ে তিনি কথা বলেন। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয় খালেদা জিয়ার। সেদিনই কারাবন্দি হন তিনি। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে। এর মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রীর আরও সাত বছরের সাজা হয়।

তাকে জামিনে মুক্ত করার সব চেষ্টাই বিফলে গেলে পরিবারের পক্ষ থেকে ‘মানবিক আবেদন নিয়ে’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সরকার নির্বাহী আদেশে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয় খালেদা জিয়াকে। পরে সব মিলিয়ে ছয় দফা এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।

মুক্তি পাওয়ার পর থেকে গত তিন বছরে খালেদা জিয়া কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাননি। এমনকি বাসার পাশে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়েও তাকে দেখা যায়নি। রাজনীতি নিয়ে তার কোনো বক্তব্য বা দিকনির্দেশনা প্রকাশ্যে আসেনি। এমনকি জাতীয় দিবস বা উৎসব পার্বণেও কোনো বার্তা দেননি।

দণ্ড সাময়িক স্থগিত থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়া রাজনীতি বা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে কথার লড়াই চলছে। খালেদাকে সাময়িক মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। এর একটি ছিল বাসায় থেকে চিকিৎসা নেওয়া এবং দ্বিতীয়টি তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না।

আওয়ামী লীগ বিলাসী জীবনযাপনে রাজনীতি করে’ মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে অনুষ্ঠানে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো বিলাসী রাজনীতি করে না, পকেটের রাজনীতি করে বিএনপি। শেখ হাসিনার সরকার জনকল্যাণে রাজনীতি করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসুর নিয়মিত নির্বাচন না হওয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতা বলে মনে করেন কাদের। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, নির্বাচন করার দায়িত্ব তাদের। এখানে আওয়ামী লীগের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। প্রতি বছরই নির্বাচন হওয়ার কথা। নিযমিত নির্বাচন করতে না পারাটা তাদের (বিশ্ববিদ্যালয়ের) ব্যর্থতা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধতিন কিলোমিটারে যত দুর্ভোগ
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে সৌদি আরবের জন্য জমির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর