খালেদা জিয়ার জন্মদিনের সঠিক তথ্য প্রকাশিত হলো : কাদের

| মঙ্গলবার , ১১ মে, ২০২১ at ৪:২৬ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ‘আসল জন্মদিন’ তার করোনাভাইরাস পরীক্ষার রিপোর্টে ‘প্রকাশ পেয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, অবশেষে বেগম খালেদা জিয়ার করোনা টেস্ট রিপোর্টে তার আসল জন্মদিনের সঠিক তথ্য প্রকাশিত হল। একাধিক জন্মদিনের নামে জাতিকে এতদিন বেগম জিয়া অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রেখেছিলেন, প্রকৃত অর্থে তার জন্মদিন করোনা টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী ৮ মে। খবর বিডিনিউজের।
গত আড়াই দশক ধরে খালেদা জিয়া ১৫ অগাস্ট তার জন্মদিন পালন করে আসছেন, যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে সমালোচনা রয়েছে। আরো জন্মদিনের হদিস পাওয়ায় এটিই খালেদা জিয়ার প্রকৃত জন্মদিন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক বহুদিনের। তার জন্মসাল নিয়েও দুই রকম তথ্য মিলেছে এর আগে। তবে ওবায়দুল কাদের এবার যে তারিখের কথা বলছেন, তা নিয়ে বিএনপি নেতাদের কারও বক্তব্য জানতে পারেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দীর্ঘদিন মানুষ অসত্যের সাথে চলতে পারে না, পারে না সত্যকে লুকিয়ে রাখতে, হাতের তালু দিয়ে যেমন আকাশ ঢাকা যায় না, তেমনি সত্যকেও কখনো আড়াল করে রাখা যায় না। জাতির পিতাকে হত্যার দিন খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে এক নির্মম, বেদনাদায়ক হত্যাকাণ্ড ১৫ অগাট, অথচ কতটা নিষ্ঠুর হলে এই দিনে বেগম জিয়া এতোদিন তার ভুয়া জন্মদিন পালন করে আসছিলেন। ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসে বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন করা জাতির পিতার হত্যাকারীদের উৎসাহিত করা এবং নির্মম হত্যাকাণ্ডকে উপহাস করারই শামিল। বিএনপির নেত্রী কি পারতেন না শোকাবহ ১৫ অগাস্টে ভুয়া জন্মদিনের অনুষ্ঠান না করতে?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বেগম জিয়ার ম্যাট্রিকুলেশন সনদ অনুযায়ী জন্মদিন ৯ অগাস্ট ১৯৪৫, বিবাহ সনদে ৫ সেপ্টেম্বর ১৮৪৫, পাসপোর্টে ১৯ অগাস্ট ১৯৪৫, আবার দাবি করেন ১৫ অগাস্ট ১৯৪৫ তার জন্মদিন। একজন মানুষের এতগুলো জন্মদিন থাকা নিয়ে দীর্ঘদিনের রহস্য এখন নতুন করে বেগম জিয়াই উন্মোচন করেছেন। অবশেষে করোনা টেস্টের জন্য দেওয়া তথ্যে জানা গেল, বেগম জিয়ার জন্মদিন ৮ মে ১৯৪৬। এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার দিবসে ভুয়া জন্মদিন পালন করা কতটা নিষ্ঠুর ও বিদ্বেষপ্রসূত রাজনীতির বহিঃপ্রকাশ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেষ মুহূর্তে টুপি আতরের দোকানে ছুটছে মানুষ
পরবর্তী নিবন্ধসব নৌরুটে ফেরি চলাচলের অনুমতি