খালেদার বিদেশে চিকিৎসায় হাল ছাড়ছে না পরিবার

| মঙ্গলবার , ১১ মে, ২০২১ at ৪:৩২ পূর্বাহ্ণ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকার অনুমতি না দেয়ায় তাঁর পরিবার এবং দল বলছে, আইনগত এবং অন্য কী উপায় আছে সবই তারা খতিয়ে দেখবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ মুহূর্তে বিদেশে নেয়ার পথ বন্ধ হওয়ায় বেগম জিয়াকে দেশের হাসপাতালেই সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা তারা করবেন। ঢাকায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার ব্যাপারে তাঁর ছোট ভাই শামীম এসকান্দরের আবেদন গত রোববার নাকচ করে দিয়েছে সরকার। সরকার অনুমতি না দেয়ায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারছেন না। এ মুহূর্তে তাঁর ঢাকায় চিকিৎসা নেয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তবে বিদেশে নেয়ার প্রশ্নে বিএনপি কী করতে পারে, তাদের সামনে কোনো পথ খোলা আছে কিনা- এসব প্রশ্নে দলটির নেতারা আলোচনা করার কথা বলছেন। খবর বিবিসি বাংলার।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এখন ঢাকায় সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা তারা করবেন। একইসাথে বিদেশে নেয়ার জন্য আইনগত বা অন্য কোন উপায় আছে কীনা-তা খতিয়ে দেখে দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম সিদ্ধান্ত নেবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমরাতো জোর করে তাঁকে বিদেশে নিয়ে যেতে পারব না। এখানে সরকার না করে দিয়েছে। সুতরাং আমরা চেষ্টা করব, এখানেই তাঁকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেয়ার জন্য। একই সময় অন্য কোনো অপশন আছে কিনা- আইনগত বা অন্য কোনো উপায়, সেটাও আমরা দেখব। অন্যান্য অপশনগুলো আমরা ভেবে দেখব এবং সেগুলো আমরা আমাদের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব, বলেন আলমগীর।
বিএনপির অন্য একাধিক সিনিয়র নেতা জানিয়েছেন, বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টি মানবিক এবং ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখা হতে পারে- সরকারের পক্ষ থেকে এমন ইঙ্গিত দেয়া হয়েছিল। এরপর খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এসকান্দর আবেদনটি করেছিলেন। এখন আবেদন নাকচ হওয়ায় ভিন্ন কোন উপায় আছে কিনা- তা খতিয়ে দেখার কথা বলছে বিএনপি। আইনজীবীদের অনেকে বলছেন, অনুমতির জন্য বিএনপি আদালতে যেতে পারে এবং সাজার ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চেয়ে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। তবে বিএনপির একজন আইনজীবী নেতা বলেছেন, দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছরের সাজা সরকার তার নির্বাহী ক্ষমতায় স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়েছিল, ফলে আইনগত অন্য প্রক্রিয়ায় কতটা লাভ হবে-তা নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। এই আইনজীবী নেতা আরও বলেছেন, যে দুটি মামলায় সাজা হয়েছে, সেই মামলাগুলোর অভিযোগই তারা মানতে রাজি নন। ফলে ক্ষমা চাওয়ার পথে তারা হাঁটতে পারেন না। এরপরও সব বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়া যায় না বলে সরকার যে যুক্তি দিচ্ছে তা বিএনপি নেতারা মানতে রাজি নন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকারের এখতিয়ারে থাকার পরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেয়া হলো না বলে তারা মনে করছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহাসপাতালে কাতরাচ্ছেন একই পরিবারের ৩ জন
পরবর্তী নিবন্ধএক দিনে আরও ৩৮ মৃত্যু