‘টেকসই দুগ্ধ শিল্প : সুস্থ মানুষ, সবুজ পৃথিবী’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সারাদেশের ন্যায় চট্টগ্রামে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গতকাল নগরীর প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সচেতনতামূলক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রাণি সম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের (এলডিডিপি) সহযোগিতায় এবং চট্টগ্রামের প্রাণিসম্পদ বিভাগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক ড. এ কে এম হুমায়ুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী, ক্যাব–চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ–সভাপতি চৌধুরী ফরিদ এবং সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক, বিভাগীয় ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন ও জেলা ডেইরি ফার্মার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মালিক ওমর।
অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ ও ছাত্রী–ছাত্রীদের মাঝে চকলেট মিল্ক, তরল দুধ ও টি–শার্ট বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের প্রাণিসম্পদ খাতের ডেইরি খামারিদের স্মার্ট হতে হবে। তাদের উৎপাদিত দুধ ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ হতে হবে। জনসাধারণকে বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক খামার স্থাপনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে সরকার নানামুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, উপস্থিত প্রত্যেকেই নিজের সক্ষমতার মধ্যে একেকজন ডেইরি শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সভাপতি ড. এ কে এম হুমায়ুন বলেন, ‘দুধই কেবল একক খাদ্যোপাদান যেখানে সকল প্রকার পুষ্টির উপস্থিতি রয়েছে। তাই দেশের মানুষকে দুধ উৎপাদন ও গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক সারাদেশে একযোগে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষে নানান কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। তিনি সুস্থ–সবল–মেধাবী জাতি গঠনে খাদ্য হিসেবে পর্যাপ্ত দুধ গ্রহণের জন্য সকলকে আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ডেইরি বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আনোয়ারা উপজেলার প্রাণিসম্পদ অফিসার ড. সমরঞ্জন বড়ুয়া। আলোচনা সভা শেষে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস–২৩ উপলক্ষে আয়োজিত রচনা, কুইজ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার এবং সনদপত্র প্রদান করা হয়।