খাগড়াছড়ির পাহাড়ি বনে এশীয় তেল শালিক

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ১৪ জুলাই, ২০২২ at ৬:৩৬ পূর্বাহ্ণ

আষাঢ়ের মধ্য দুপুর। কাঁঠালচাপা গাছে উড়ে এসে বসল দুই জোড়া শালিক। গাছের ফল খেতে বন থেকে উড়ে আসা তাদের। এরা সাধারণ কোনো শালিক নয়, দুর্লভ এশীয় তেল শালিক। এরা চিরহরিৎ বনের স্থায়ী বাসিন্দা। সহজে দেখা মিলে না এদের।
সম্প্রতি খাগড়াছড়ির পাহাড়ি বনে দেখা মিলল তেল শালিকের। কাঁঠালচাপা গাছের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়াচ্ছে পাখিটি। গাছ থেকে ফলের বীজ খেয়ে আবারো উড়াল দিচ্ছে। খাগড়াছড়ির পাহাড়ি বনে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মিললেও তেল শালিকের দেখা মিলল এই প্রথম। খাগড়াছড়ি ছাড়াও কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান, বান্দরবানে এদের দৈবাৎ দেখা মিলে।
খাগড়াছড়িতে ৪ বছর ধরে বন্যপ্রাণীর ছবি তুলছে শৌখিন আলোকচিত্রী সবুজ চাকমা। তিনি জানান, এশীয় তেল শালিক দুর্লভ প্রজাতির। এটি সাধারণত পাহাড়ি বনে থাকে। তবে এদের খুব কমই দেখা যায়। এরা সাধারণত বিভিন্ন গাছের ফল, পোকামাকড়, চম্পা ফুল এবং ফুলের মধু খেয়ে থাকে। শৌখিন আলোকচিত্রী সৈয়দ আব্বাছ বলেন, তেল শালিক মূলত বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চলে দেখা যায়। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে প্রায় ১০ জোড়া তেল শালিকের দেখা পেয়েছি। চম্পা ফুল ও বিভিন্ন জাতের ফল এদের প্রিয় খাবার।
এশীয় তেল শালিকের দেহ কালচে সবুজ। এদের চোখ গাঢ় লাল। শরীরের দৈর্ঘ্য ২০ সেন্টিমিটার। এদের চঞ্চু কালো। অপ্রাপ্তবয়স্ক তেল শালিকের রঙ বাদামি। লেজতল হালকা সাদা। মার্চ থেকে মে এদের প্রজনন মৌসুম। বাংলাদেশ ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ভারত, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ডেও এ শালিক রয়েছে। আইইউসিএনের তালিকায় এটি বিপদগ্রস্ত প্রাণী হিসেবে তালিকাভুক্ত।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদক্ষিণ ভূর্ষি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার মানোন্নয়ন শীর্ষক সভা
পরবর্তী নিবন্ধঈদে কক্সবাজারে লাখো পর্যটক